মুসলিম বন্দীর গায়ে জোর করে ‘ঔঁ’ লিখে দেওয়ায় এবার বিতর্কে জড়াল তিহার জেল কর্তৃপক্ষের নাম। ওই জেলের সুপারিনটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক মুসলিম বন্দীর গায়ে গরম লোহার শিক দিয়ে ‘ঔঁ’ চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই সুপারিনটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে, উপোস করতে বাধ্য করে রাখারও অভিযোগ তুলেছে নাবির নামে ওই বন্দী।
অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য নাবিরকে পেশ করা হয়েছিল দিল্লীর কড়কড়ডুমা আদালতে৷ সেখানেই বিচারকের কাছে ওই অভিযোগ জানায় নাবির। সকলের সামনেই এরপর নিজের জামা খুলে বিচারপতিকে দেখায় তার পিঠের চিহ্নটি। দেখা যায় প্রায় ছ’ইঞ্চি বড় ওই ‘ঔঁ’ চিহ্নটি ওই বন্দীর বাঁ কাঁধের একটু নিচে খোদাই করা। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেল কর্তৃপক্ষ।
তবে বিচারপতি জেল কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যকে বিশ্বাস না করে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কারা বিভাগের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল অব প্রিজনের উপর। রায়ে বিচারপতি বলেন, ‘ঘটনার প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া, অন্যান্য বন্দীদের জবানবন্দিও নেওয়া হবে। জেলের বন্দীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি যাতে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হল কারা কর্তৃপক্ষকে’।
অন্যদিকে, অবৈধ অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে দোষী নাবিরকে রাখা হয়েছে তিহারের জেলের চার নম্বর সেলে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ৷ তারপরেই রায় দেওয়া হবে৷ তবে যতদিন না তদন্তের রিপোর্ট আসছে, ততদিন ওই বন্দীকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিল আদালত।
রীতিমতো চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ৷ কীভাবে একজন বন্দীর গায়ে এই ধরনের চিহ্ন আঁকা হল, তিহার প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কোনও আধিকারিকই তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না৷