গত ১১ এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু এই মুহূর্তে গোটা দেশেই বইছে প্রবল বিজেপি বিরোধী হাওয়া। অবস্থা এমনই যে, নিজেদের রাজ্যেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। হ্যাঁ, আশঙ্কার মেঘ এখন উঁকি মারছে গুজরাতের পদ্মবনের আকাশে।
সে রাজ্যের রাজকোট লোকসভা কেন্দ্র গত দু’দশক ধরে বিজেপির গড়। গত ৭ বারের মধ্যে ছ’বারই এই আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু এবার ভোটে রাজকোট নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না বিজেপির। কারণটা কৃষিসঙ্কট। উল্লেখ্য, রাজকোট কেন্দ্রের একটা বড় অংশ গ্রামীণ এলাকা। ৭টি বিধানসভার কেন্দ্রের ৪টি শহুরে। এই ৪টি আসনই বিজেপির দখলে। আর গ্রামীণ ৩টি আসন কংগ্রেসের দখলে। জানা গেছে, এ বছর ভাল বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় ভুগছেন কৃষকরা। জলের অভাবে ফসল নষ্ট হলেও তাঁরা ফসলবিমার টাকা পাননি। দু’দশকেরও বেশি সময় গুজরাতে ক্ষমতায় বিজেপি। তবু গ্রামীণ রাজকোটে সেচের জলের সমস্যা মেটেনি। বাঁধে জল না থাকায় রয়েছে পানীয় জলের সঙ্কটও।
উল্লেখ্য, ২০১৪-য় ভোটে জেতার পর সাংসদ মোহন কুন্দারিয়াকে কৃষি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন মোদী। তিনিই এখন রাজকোটের বিজেপি সাংসদ। এবার মোহন কুন্দারিয়ার সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের বিধায়ক ললিত কাগাথারার। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, কৃষির সমস্যাই শেষ পর্যন্ত রাজকোটে তীব্র লড়াই গড়ে তুলতে সাহায্য করবে কংগ্রেসকে। অন্যদিকে, রাজ্যে প্রবল বিজেপি বিরোধী হাওয়া এবং কংগ্রেসের অভ্যুত্থান দেখে খোদ দলের অন্দরেই এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, মোদীর রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কি ৬ বারের জেতা আসন ধরে রাখতে পারবে?