দিন কয়েক আগেই প্রকাশিত হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার। এবার মলাট বাদ দিয়ে ৪২ পৃষ্ঠার ইস্তাহারে ‘কর্মসংস্থান’ শব্দটি এসেছে ১২ বার। আর ‘চাকরি’ শব্দটি ৩ বার। কিন্তু কর্মসংস্থান বা চাকরির সংখ্যা নিয়ে বিজেপির ইস্তাহারে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। ফলে গোটা দেশই এখন প্রশ্ন তুলছে, চাকরি কোথায়? এবার যেমন উত্তর গোয়ার ভালপোই নির্বাচন কেন্দ্রে সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিত্ রানেকে ওই যুবক প্রশ্ন করেন, এক দশকেরও বেশি সময় তিনি ক্ষমতায় থাকলেও কেন লোকজনকে চাকরির সুযোগ করে দিতে পারছেন না? তবে প্রশ্নের উত্তর তো তিনি পানইনি, বরং এই ‘দোষ’-এ পুলিশ গ্রেফতার করল প্রশ্নকারী ওই যুবককে।
হ্যাঁ, মন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে বেকারত্ব নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলতেই মেজাজ হারান তিনি। এবং তাঁর নির্দেশেই গ্রেফতার হন যুবক। জানা গেছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারায় অভিযোগ হয়েছে। যার ফলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। এই কারণে বিজেপিকে ‘ফ্যাসিস্ট দল’ বলেও মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, সরকারের কাছে কেউ কোনও প্রশ্ন তুললে বা কিছু দাবি করলেই কি গ্রেফতার হতে হবে তাঁকে? যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, প্রতিশ্রুতি দিতেই ওস্তাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ঠিক ততটাই ব্যর্থ তিনি। বিগত ৫ বছরে এ কথা জেনে ফেলেছে প্রায় গোটা দেশই। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ অবতারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে সেবার তিনি ফেরি করেছিলেন ‘বিকাশ’-এর স্বপ্ন, দেশে আচ্ছে দিন আনার স্বপ্ন। দেশবাসীর কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে দু’কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরীর। কিন্তু আদতে হয়েছে ক্যাঁচকলা। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সরকারের মেয়াদ ফুরনোর মুখে প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় সেই দু’কোটি চাকরি? তবে তারপরেও চাকরি বা উত্তর কিছুই মিলছে না। মিলছে কেবল হাজতবাসের শাস্তি।