হাবড়ার শান্তি ভঙ্গ করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি সহ কিছু দল। এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়মল্লিক। উত্তর ২৪ পরগনার লোকসভা কেন্দ্রগুলির দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। আর সেই জন্যই একের পর এক সভায় উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের মনোবল বাড়াচ্ছেন তিনি। শনিবার বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হয়ে সভা করতে এসে এমনই আতঙ্কের কথা তিনি বলেন।
মন্ত্রীর কথায়, ‘বিজেপি–সহ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল ফের শান্ত হাবড়াকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। তারা চাইছে হাবড়াকে অশান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। কিন্তু আমরা তা কিছুতেই করতে দেব না। আপনারা পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়িতে ঘুমোন। আমরা তৃণমূল কর্মীরা সবসময় আপনাদের পাহারা দেব।’ উল্লেখ্য, এক সময় হাবড়া অঞ্চলের মানুষ প্রায় প্রতিদিন বোমা, গুলির শব্দে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই পরিস্থিতির বদল ঘটেছে।
শুধু তাই নয়। বিজেপি সরকারের নীতি নিয়েও তিনি তীব্র নিন্দা করেন। সভা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘ ভারতবর্ষ জুড়ে এনআরসি চালু করার জন্য মোদি সরকার ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেছে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসমে বহু মানুষ সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। এই সরকার চায় বাংলায়ও এনআরসি চালু হোক। কিন্তু আমরা কিছুতেই বাংলায় তা চালু করতে দেব না। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমাদের নেত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না। এনআরসি–র নামে মানুষকে তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া চলবে না।’ পাশাপাশি, নরেন্দ্র মোদীকেও টেনে আনেন তিনি তাঁর বক্তব্যে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ভারতে কে থাকবেন, আর কে থাকবেন না, তা কি নরেন্দ্র মোদী ঠিক করে দেবেন? তিনি কে? তিনি কি ভারতবর্ষের ইজারাদার? কে দিয়েছে তাঁকে এই দায়িত্ব? তাঁর এই মনোভাবকে দেশের মানুষ কখনও বরদাস্ত করবে না।’
এইভাবে একের পর এক ইস্যু নিয়ে তাঁর বক্তব্য শুনতে পায় বারাসাতবাসী। তাঁর বক্তব্য নির্বাচনে বারাসাতের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে টনিকের কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকে।