অনুব্রত মণ্ডলের আদিবাড়ি হাটসেরান্দি। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে সেখানেই খানিকটা পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু তা সত্বেও এই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে লিড পেয়ে মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে চাইছে শাসক শিবির। নানুরের এই প্রত্যন্ত এলাকার জনপদ নামেই গ্রাম। এই অঞ্চলে শহরের সব সুবিধাই মেলে। স্ট্রীট লাইট, আধুনিক অডিটোরিয়াম হল, অলি গলিতেও পাকা রাস্তা, পাকা ড্রেন, গীতাঞ্জলি আবাসনের ঘর, নির্মল বাংলার শৌচালয় সবই হয়েছে গ্রামে। সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে গড়ে উঠেছে জল প্রকল্প। এককথায় নিজের গ্রামকে উন্নয়নে মুড়ে দিয়েছেন জেলা সভাপতি। আর এই উন্নয়নই এবার তৃণমূলের হাতিয়ার।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “হাটসেরান্দির উন্নয়ন দেখে মানুষ আমাদের থেকে দূরে থাকতে পারে! গ্রামে মিছিল করলে পাঁচশো লোক হচ্ছে। গ্রামের সব মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। এখানের প্রতিটি বুথে বিপুল ভোটে আমরা লিড পাব”। ২০১৬ বিধানসভার পর তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগে এলাকায় শুরু হয় বিশাল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। ২৬ মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। ২৪৩টি স্ট্রিট লাইট দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর প্রভাব এখন জেলার গণ্ডী ছাড়িয়ে রাজ্যে বিস্তৃত। বীরভূমের পাশাপাশি নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানের একাংশে দলকে জেতানোর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তাঁর প্রভাবেই জেলার অধিকাংশ আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এবার ওই অঞ্চলে রেকর্ড ভোটে লিড করবে তৃণমূল।