বৃহস্পতিবার সোনা জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে দোহা উড়ে গেলেন স্বপ্না বর্মন। এশীয় পর্যায়ে জেতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বাংলার সোনার মেয়ে স্বপ্না বর্মন। গত মাসে পাতিয়ালাতে ফেডারেশন কাপে সোনা জয়ের পর ছুটিতে নিজের গ্রামের বাড়ি অর্থাৎ জলপাইগুড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে চমকে গেছেন স্বপ্না। দেখেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামের একটি রাস্তার নাম স্বপ্নার নামে করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গর্বিত স্বপ্না। বলেছেন, “খুব খুশি। আমার নামে রাস্তা হচ্ছে, জীবনে কোনও দিনও ভাবিনি। আমি গর্বিত। সকলকে অনুরোধ করছি, আমাকে আশীর্বাদ করুন, আমি যেন আরও দূর এগোতে পারি”।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাতিয়ালা থেকে দিল্লী হয়ে দোহার উদ্দেশে পাড়ি দিলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে।
সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক লক্ষ্য থাকলেও, সোনার কথা মাথায় না রেখে নিজের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য স্বপ্নার। তিনি বলছেন, “অবশ্যই সোনা জয়ের হ্যাটট্রিকই হল আমার আসল লক্ষ্য তবে, এই মুহূর্তে সোনার কথা মাথায় রাখতে চাই না। কারণ, সেটা মাথায় রাখলে নিজের ওপর চাপ বাড়বে। আর চাপ বাড়লে তা পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলবে”। দোহাতে ছাত্রীর সঙ্গে যাওয়ার ছাড়পত্র পাননি স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার। নিজের খরচে দোহা যাচ্ছেন সুভাষ। বলছিলেন, “দোহাতে আমাদের টার্গেট ৬১০০ পয়েন্ট। তবে ও পুরো ফিট নয়। এটা নিয়েই চিন্তায় রয়েছি। দেখা যাক কি হয়”।
পাতিয়ালাতে ফেডারেশন কাপে সোনা জিতলেও, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা পাওয়া অনেক কঠিন, এমনটাই মনে করছেন জাকার্তা এশিয়াডে সোনা জেতা মেয়ে স্বপ্না। তিনি বলেছেন, “এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এশিয়ার তাবড় তাবড় অ্যাথলিট অংশগ্রহণ করে। লড়াই অনেক কঠিন”।