পোর্তোর মাঠ এস্তাদিয়ো দো দ্রাগাওয়েতে পোর্তোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে কার্যত উড়িয়ে দিল লিভারপুল। নিজেদের মাঠে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল লিভারপুল। ফিরতি দেখায় তিন ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহ ও ফিরমিনোর গোলের পর ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকও পেলেন সাফল্যের দেখা। বড় ব্যবধানে জিতে সেরা চারে উঠেছে প্রতিযোগিতার ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৪-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ অগ্রগামিতায় সেরা চারে উঠল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগেও ২-০ জিতে থাকায় দুই ম্যাচ মিলে তাদের পক্ষে গোলের গড় দাঁড়াল ৬-১। এবং সেমিফাইনালে মুখোমুখি হল লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনার। যে ম্যাচ নিয়ে লিভারপুল ম্যানেজার ক্লপ বলে দিলেন, ‘‘বার্সার সঙ্গে খেলব ভেবে তর সইছে না। ভাবছি কখন ম্যাচটা হবে, আর খেলতে নামব।’’
শুরু থেকে লিভারপুলের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে পোর্তো। কিন্তু প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ছয়টি শট নিলেও কাঙ্খিত গোলের পায়নি দলটি। খেলার ধারার বিপরীতে ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডি-বক্সের ভেতর থেকে মোহামেদ সালাহর বাড়ানো বল শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে জালে জড়িয়ে দেন মানে। সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে ছিলেন কি না, ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
লিভারপুল বনাম পোর্তো ম্যাচে কী হল তা নিয়ে অবশ্য আগ্রহ কম। এখন থেকে আলোচনা হচ্ছে, মেসিদের বিরুদ্ধে ‘দ্য রেডস’ কী করতে পারে তা নিয়ে। ২০০৬-২০০৭ মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ বার বার্সা বনাম লিভারপুল লড়াই হয়। শেষ ষোলোর সেই লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের ক্লাব জেতে বাইরে গোল করায়। ক্লপ জানাচ্ছেন, “ছেলেদের জন্য আমি গর্বিত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় পরপর দু’বার সেমিফাইনাল খেলব ভাবতে পারছি না।’’ এই মুহূর্তে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত লিভারপুল। সঙ্গে টানা আট ম্যাচ জিতল। দু’দল প্রথম মুখোমুখি হবে ন্যু ক্যাম্পে। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথম খেলবেন লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডিক।