আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংস্থাটি মূলত মহারাষ্ট্রের হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তর-পূর্বেও বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উসকানিতে নাম জড়িয়েছে লিগাল রাইটস অবজার্ভেটরির। আর এই সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অসম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, সেই রাজ্যের ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে। মূলত মোদীর ‘নাগরিকত্ব বিল’ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার ফলেই তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে মনে করছেন বহু রাজনীতিবিদ।
লিগাল রাইটস অবজার্ভেটরির কর্তা বিনয় জোশী সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অভিযোগ জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে গুয়াহাটির ৫ টি সংবাদসংস্থা এবং ৪ জন সাংবাদিক মাত্রাছাড়া বিরোধিতার পথ নিচ্ছেন। কোন স্বার্থে তাঁদের এমন বিরোধিতা? অভিযোগপত্রে আরও লেখা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের এমন উচ্চকিত বিরোধিতা ইন্ধন যোগাচ্ছে আলফার মত বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে। তাই এঁদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হোক, এই মর্মে আবেদন জানিয়েছেন বিনয় জোশী।
নিতুমনি সইকিয়া, মনজিত মোহন্ত, অজিতকুমার ভুঁইঞা এবং আফ্রিদা হোসেন এই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংস্থাটি। অসমের বিজেপি সরকারের কর্মপদ্ধতি নিয়েও এই সাংবাদিকরা সমালোচনা জারি রেখেছেন। বিশেষ করে অসম সরকারের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যমে অসমীয়া সংস্কৃতিকে বদলে দেওয়ার চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন এই সাংবাদিকরা।
বিনয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে যে ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা অবশ্য এনিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। গোটা ঘটনাটিকে চাপের কৌশল বলে মন্তব্য করে সাংবাদিকের দাবি, অসমের মানুষ বিলের বিরুদ্ধে, এভাবে জোর করে তা কোনও মূল্যেই চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। মানুষের কথা আমরা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরবই।