বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে বিজেপি ও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘তিনি নিজেকে মহান নেতা ভাবেন। নিজেই নিজের প্রচার করেন। জ্যাকেট সিনেমা তৈরি হয়েছে। এখন মোদীর নামে জুতো বানানোই যা বাকি আছে। এবার ওটাও হবে। আর তা পায়ে দিয়ে ঘুরবেন আমজনতা’।
২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বালুরঘাট। তার আগে গর্জে উঠে প্রচার সভা থেকে মমতা ফের স্লোগান তুললেন ‘১৯ এ বিজেপি ফিনিশ’-এর। করতালিতে ফেটে পড়ে জনসভা।বিভিন্ন ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘নোট–বাতিল নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। বিজেপির আমলে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ২ কোটি মানুষ বেকার হয়েছেন। ভারতের অর্থনীতি নিয়ে কোনও পর্যালোচনা হয়নি। গুজরাত নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। নোটবন্দীর ফলে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা আসেনি। এটা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয়। ৫ বছরে মোদি সরকার ব্যর্থ’। সঙ্গে জানিয়ে দেন, দক্ষিণ ভারত থেকে একটি আসনও পাবে না বিজেপি। উত্তরপ্রদেশও দখল করবে সপা-বসপা জোট।
এদিন মমতা এনআরসির প্রসঙ্গ তুলে ফের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। পাশপাশি মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশ নদীর জল আটকে দিয়ে যখন বালুরঘাটের মানুষের সমস্যা তৈরি করে,তখন কোথায় থাকে বিজেপি সরকার?’ দৃপ্ত কণ্ঠে মমতার ঘোষণা, ‘বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না’।স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় এদিনও মোদীর বিরুদ্ধ তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন মোদীকে নিয়ে তৈরি বায়োপিক প্রসঙ্গে। এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘এবার ওনার নামে জুতো বানানো বাকি থাকবে, আর তা পরে আমরা ভারতবর্ষে ঘুরে বেড়াব।’
দলীয় প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের প্রশংসা করে মমতা বলেন, ‘ও একজন প্রসিদ্ধ নাট্যকর্মী। শুধু আমার কথায় এখানে ভোটে দাঁড়িয়েছে। ওকে যা করতে বলা হয়, তাই করে। আর শুধু আমার সঙ্গে ঝগড়া করে। কেন করে? শুধু আমাকে বলে বালুরঘাটে রবীন্দ্র কেন্দ্রটা করে দাও, উৎকর্ষ কেন্দ্রটা করে দাও, ইটাহারে এটা করে দাও, তপনে এটা করে দাও। আমি চাই আমার সঙ্গে ঝগড়া করুক। কাজের জন্য যদি কেউ আমার সঙ্গে ঝগড়া করে, আমি তাকে খুব ভালোবাসি’।