বাংলায় ৪২-এ ৪২ দিন। দিল্লী কীভাবে কাঁপাতে হয় সেটা তৃণমূল জানে। শুক্রবার বহরমপুরের প্রচার সভা থেকে এভাবেই গর্জে উঠলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আঞ্চলিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলই সরকার গড়বে বলেও মমতা মন্তব্য করেন। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, বিজেপি কিছুতেই আর ক্ষমতায় ফিরবে না।
বহরমপুরে প্রচার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনার ভোটটা তৃণমূলকে দিন। তার কারণ এ বারের বাংলা সালটা হচ্ছে ১৪২৬। ১৪২৬, বাংলা চায় বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ।’ এ রাজ্যের সব আসনে জিততে পারলে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে মুখ্য ভূমিকা যে তৃণমূলই নেবে, সে ইঙ্গিতও নিজের ভাষণে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিয়াল্লিশটা সিট দিন, দিল্লী কীভাবে কাঁপাতে হয় আমরা জানি। দিল্লী কী করে দখল করতে হয় আমরা জানি। দিল্লীতে কী ভাবে সরকার গড়তে হয় আমরা জানি।’
এদিন মোদীর সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি নিজেকে মহান নেতা ভাবেন। কিন্তু উনি নিজেই নিজের প্রচার করেন। আমরা তো জানি, লোকে যাঁরে বড় বলে সেই বড় নেতা হয়।’ প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশ নদীর জল আটকে দিয়ে যখন বালুরঘাটের মানুষের সমস্যা তৈরি করে,তখন কোথায় থাকে বিজেপি সরকার?’ দৃপ্ত কণ্ঠে মমতার ঘোষণা, ‘বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না।’ কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএমকে একযোগে দায়ী করে মমতা বলেন, ‘এরা এখন একসঙ্গে কাজ করছে। সিপিএমের একাংশ বিজেপিকে সমর্থন করছে। কংগ্রেসের দুই প্রার্থী আরএসএস, বিজেপির সাহায্য নিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। বাংলায় বিজেপি কোনওদিনই ক্ষমতায় আসবে না।’
এ বার সরকার গঠনে বাংলা আর উত্তরপ্রদেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃতীয় শক্তি সরকার গঠন করলে যে দু’তিনটি দল সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেবে, তার মধ্যে তৃণমূল অন্যতম। মমতা বলেন, ‘তৃণমূলই সবাইকে নিয়ে সরকার গড়বে। উত্তরপ্রদেশ, বাংলা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে করব আমরা। কোনও অসুবিধা নেই। সরকার গঠন করতে বিজেপি পারবে না, নিশ্চিন্ত থাকুন। আঞ্চলিক দলগুলো মিলেমিশে সরকার গড়বে।’