গতকাল উড়িষ্যার কন্ধমালের গচাপদা থানার বারলা গ্রামেও মাওবাদী হামলা চালায়। এই হামলায় এক ভোটকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ভোটের কাজে যাওয়া ওই কর্মীকে গুলি করে মারা হয়। তাঁদের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মৃত ভোটকর্মীকে সনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর নাম সংযুক্তা দিগাল। উড়িষ্যার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুরেন্দ্র কুমার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সংযুক্তার পরিবার পাবে ৩০ লক্ষ টাকা।
এর আগেও ওড়িশায় ভোটকর্মীদের ওপরে আক্রমণ করেছে মাওবাদীরা। বুধবারই ভোটের কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও বাইক থেকে ভোটকর্মীদের টেনে নামায়। তারপর গাড়ি ও বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবারের ভোটে মাওবাদীরা সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে ছত্তিসগড়ে। গত ৯ এপ্রিল বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে গিয়েছিলেন বিজেপির বিধায়ক ভীমা মাণ্ডবী। চার দেহরক্ষীকে নিয়ে তিনি যখন প্রচার করে ফিরছেন, পথে মাওবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়।
ছত্তিসগড়ে বিধায়কের মৃত্যুর পরেই উড়িষ্যা পুলিশের ডিজি বি কে শর্মা মাওবাদী উপদ্রুত জেলাগুলির কালেক্টর ও পুলিশ সুপারদের ডেকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। উড়িষ্যা পুলিশের ডিজি ভোটকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় কেউ যেন রাতে চলাফেরা না করেন। দিনের বেলাতেও ওই সব জায়গার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা যেন নিরাপত্তারক্ষীদের আগে খবর দেন। কিন্তু এত সতর্কতার পরেও ভোটকর্মীর মৃত্যু এড়ানো গেল না।
উল্লেখ্য, কন্ধমল সংসদীয় কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। বালিগুড়া, ফুলবনী ও জি উদয়গিরি, তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র কন্ধমল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে।