সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। বাংলার জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ ও দার্জিলিং, এই তিন আসনের পাশাপাশি গোটা দেশের মোট ৯৫টি আসনে নির্বিঘ্নেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব।
দ্বিতীয় দফায় মোট ১১টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তামিলনাড়ুর ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সেই সঙ্গে দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যটিতে ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোট হচ্ছে। তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কর্ণাটকের অর্ধেক আসন অর্থাৎ ১৪টি আসনে ভোট হচ্ছে নির্বিঘ্নেই। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় দফায় মহারাষ্ট্রে ১০ আসনে, উত্তরপ্রদেশের ৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টার সময়। বিহার-আসাম এবং উড়িষ্যার ৫টি করে আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। জম্মু-কাশ্মীরের ২টি আসন এবং ছত্তিশগড়ের ৩টি আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে মণিপুর এবং পণ্ডিচেরিতে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। তবে ভোটের একদিন আগে প্রচুর টাকা উদ্ধার হওয়ায় ভেলোর কেন্দ্রে বাতিল হয়েছে ভোটদান। এছাড়া ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোটগ্রহণ হচ্ছে না ত্রিপুরা পূর্ব আসনটিতেও।
সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অশান্তির খবর আসেনি কোনও কেন্দ্র থেকেই। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি বুথে ইভিএম বিভ্রাটের খবর মিলেছে। আসামের একটি কেন্দ্রে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে ভিভিপ্যাটেও। এদিকে সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন অভিনেতা রজনীকান্ত, কমল হাসান, প্রকাশ রাজ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং তাঁর পরিবার, ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং তাঁর পরিবার। কাশ্মীর উপত্যকাতে ভোটের দিন বনধের মতোই আবস্থা। সেভাবে সাড়া মেলেনি ভোটারদের, বুথে ভোট দেওয়ার লাইনও নেই। এসবের মধ্যেই ভোট দিয়েছেন ওমর এবং ফারুক আবদুল্লা। বিজেপি সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।
গোটা দেশের পাশাপাশি এরাজ্য কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট হচ্ছে তিনটি আসনে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট হচ্ছে নির্বিঘ্নেই। এরাজ্যের তিন কেন্দ্রের ৮০ শতাংশ বুথে ভোট হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায়। দার্জিলিংয়ে ৬৬ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ৪৯ কোম্পানি এবং রায়গঞ্জে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত রয়েছেন। দার্জিলিং কেন্দ্রে মূল লড়াই তৃণমূলের অমর সিং রাই এবং বিজেপির রাজু সিং বিস্তের। লড়াইয়ে আছেন বামফ্রন্টের সমন পাঠক এবং কংগ্রেসের শংকর মালাকারও। জলপাইগুড়িতে লড়াইয়ে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ বিজয়কৃষ্ণ বর্মণ, বিজেপির জয়ন্ত রায়, সিপিএমের ভগীরথ রায় এবং কংগ্রেসের মণি ডারনাল। রায়গঞ্জ আসনে প্রকৃত চতুর্মুখী লড়াই। বিদায়ী সাংসদ সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি, বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরি এবং তৃণমূলের কানাইয়ালাল আগরওয়াল।