গত ১১ এপ্রিল থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। আর আজ ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলল উত্তরবঙ্গের তিন আসন থেকেই। গেরুয়া সন্ত্রাস দিয়েই শুরু হল এদিনের ভোটলগ্ন। কোথাও বাঁশ, লাঠি দিয়ে নির্বিচারে মেরে মাথা ফাটানো হলো সাংবাদিকের। কোথাও আবার ভোটারদের দিকে ধেয়ে হুমকির ঝড়। সবক্ষেত্রেই অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ, বৃহস্পতিবার ভোট চলছে ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরির মোট ৯৫টি আসনে। একই সঙ্গে বিধানসভা ভোট হবে উড়িষ্যার ৩৫টি এবং তামিলনাড়ুর ১৮টি আসনে। বাংলায় আজ ভোট জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জ— উত্তরবঙ্গের এই তিন আসনে। কিন্তু মাত্র ৩টি আসনে ভোট হলেও, তান্ডব কিন্তু কম হচ্ছে না। যেমন গোয়ালপোখরের কাটা ফুলবাড়িতে ভোটের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন একটি সংবাদমাধ্যমের দুই প্রতিনিধি। ভোট দানে বাধা দেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁরা। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া দু’জনের। চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের পরিচয়পত্রও। দু’জনের অবস্থাই গুরুতর।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফাতেও সমস্যা রয়ে গেছে ইভিএমে। আজ যেমন সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়ে ঝামেলা পোহাতে হলো রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সিকেও। ইভিএম বিভ্রাটের কারণে ভোট দিতে ১০ মিনিট দেরি হয় তাঁর। ইভিএম বিভ্রাটের খবর মেলে আরও নানা জায়গা থেকে। জানা গেছে, ইসলামপুরে ১৩৫ নম্বর বুথে ভিভিপ্যাড বিকল হয়ে পড়ায় অন্যান্য ভোটারদের পাশাপাশি তৃণমূলপ্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকেও বেশ কিছুক্ষণ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ইভিএম খারাপের অভিযোগ মেলে শিলিগুড়ির বুথেও। ইসলামপুর পুরসভার ২৯/১১৪ নম্বর বুথেও ইভিএম সমস্যার কারণে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোট গ্রহণ।
অন্যদিকে, ৩ কেন্দ্র থেকেই আসছে ভোটারদের চমকানো-ধমকানোট খবর। দার্জিলিংয়ের চোপড়া থেকে ভোট দানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। জানা গেছে, বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা দীর্ঘক্ষণ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে। চলে বিক্ষোভও। পরে পুলিশের সাহায্যে বুথমুখী হন ভোটাররা। আবার চোপড়ার দাসপাড়া ৯২ নম্বর বুথেই উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, অস্ত্র হাতে গেরুয়া বাহিনী ভোটারদের ভোট দানে বাধা দিচ্ছে। ভয়ে বুথে আসতে পারছেন না এলাকাবাসীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সকলে।