গত মাসেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন ভোটে জিততে কোনও নীতি-আদর্শের তোয়াক্কা করবেন না তাঁরা। সেই মতো যাবতীয় নীতি-আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েই ভোটযুদ্ধের রণকৌশল ঠিক করছে জিততে মরিয়া বিজেপি। এবার যেমন শোনা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, যিনি মালেগাঁও বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত! ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। তাঁকে টেক্কা দিতেই এবার সাধ্বীর মতো একজন ‘অ্যান্টিসোশ্যাল’কে প্রার্থী করছে বিজেপি। কারণ সাধ্বী বলেছেন, তিনি ভোপাল থেকে বিপুল ভোটে জিতবেন।
বিজেপির ভাবী প্রার্থীর কথায়, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমি ভোটে দাঁড়াব এবং অবশ্যই জিতব। সাধ্বী বুধবার ভোপালে বিজেপি অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা শিবরাজ সিং চৌহান ও রামলালের কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ভোপাল কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সালে জিতেছিলেন বিজেপির অলোক সানজার। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি সাধ্বী প্রজ্ঞার পাশে আছে। তিনি যাতে ভোপাল কেন্দ্র থেকে জয়ী হন, সেজন্য দল সবরকম চেষ্টা করবে। মালেগাঁও বিস্ফোরণ সম্পর্কে তিনি সাফাই গেয়ে বলেন, সাধ্বীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এক মহিলা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, এখন প্রতিশোধ নেওয়ার সময়।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওতে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হন। একটি মোটর সাইকেলে বোমা রাখা ছিল। লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত এবং সাধ্বী প্রজ্ঞার নামে ওই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস অভিযোগ তোলে, শ্রীকান্ত এবং সাধ্বী হিন্দু সন্ত্রাসবাদী। বর্তমানে তাঁরা দু’জনেই জামিনে মুক্ত আছেন। সাধ্বীর দাবি, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব এবং তাদের পরাজিত করব। তাঁর সাফাই, তিনিও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এর আগে বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি বিজেপি প্রভাবিত ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা শাখা দুর্গা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইউএপিএ-তে এখনও মামলা চালু আছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে তাঁকেই এবার ভোপালের প্রার্থী করতে চলেছেন মোদী-শাহেরা।