ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শেষ প্রদীপটিও নিভে গেল আজ। চলে গেলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে সোমরা ওঁড়াও। টানা ১৮ দিন জীবন যুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ফিরে এলেন না ১১০ বছর বয়সী এই স্বাধীনতা সংগ্রামী। গত ১ এপ্রিল থেকে ভর্তি ছিলেন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টে ২৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে শ্বাসকষ্ট ও রক্তচাপ জনিত বিভিন্ন সমস্যায় গত ১ এপ্রিল নাতি দিলীপ ওঁড়াও তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করেন। সেখানেই সিসিইউ’তে ডাঃ সুকান্ত মান্নার অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। দিন দুয়েক ধরে চিকিৎসায় সারা দিচ্ছিলেন না সোমরা ওঁড়াও।
প্রসঙ্গত, ১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন বালুরঘাট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে পারিলাহাটে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকশো মানুষ। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন আদিবাসী। ১৯৪২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কৈকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সোমরা ওঁরাও-এর নেতৃত্বে পারিলাহাটে কয়েকশাও আদিবাসী তীর ধনুক নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধে নেমে পড়েছিলেন। সেইদিন ব্রিটিশের গুলিতে শহীদ হন চারজন আন্দোলনকারী। সোমরা ওঁরাও-এর মত ২০ জন গুলিতে আহত হন। কিন্তু কর্তব্যে অনড় ছিলেন তাঁরা। তাঁদের এইরকম লড়াইয়ের ফলেই আমরা স্বাধীন ভারতে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে পারি।