আর চার পাঁচটা রাজ্যের মতো একাধিক আসন নেই এখানে। একেবারেই ছোট্ট একটা রাজ্য ত্রিপুরা। আর লোকসভা আসনও মাত্র দু’টি। কিন্তু গেরুয়া সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো রাখতে দুটি আসনে দু’দফায় নির্বাচন ঘোষণা করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মতো গত ১১ তারিখ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে বিপ্লব দেবের রাজ্যে। তবে ভোটের পরই ত্রিপুরার বিজেপি বিরোধী দলগুলি অভিযোগের পাহাড় জমা করেছিল নির্বাচন কমিশনে। সেইমতোই এবার পদক্ষেপ করল কমিশন। ত্রিপুরা পূর্ব আসনে ভোট পিছিয়ে দিয়েছে তারা। ১৮ এপ্রিল ওই আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ওই দিন ভোট হচ্ছে না। পাঁচ দিন পিছিয়ে তৃতীয় দফার ভোটের দিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল ভোট হবে ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রে। এবং সেইসঙ্গে ভোট প্রচারের সময়সীমাও ৪৮ ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমের নির্বাচনে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বিরোধীরা দাবি করেছে ৪০০-র বেশি বুথে রিপোল করার। তাদের দাবি, ভোটই হয়নি ওই কেন্দ্রে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে যা ইচ্ছে তাই করেছে বিজেপি। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রর্থী মামুন খান যেমন নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছেন,’মেরে ধরে আমায় বের করে দিচ্ছে বিজেপি। গণতন্ত্র বলে কিচ্ছু নেই।’ বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পাঁচ দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও জোর দেওয়া হবে। মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাতে সমস্ত মানুষ নির্ভয়ে বুথে পর্যন্ত যেতে পারেন, এই পাঁচ দিনের মধ্যেই সেই কাজ করা হবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম দফায় গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত দেখে পরোক্ষে কমিশন মেনে নিয়েছে, ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলার দৈন্যদশার কথা। এবং সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।