হার থেকে জয়ে ফিরল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। মঙ্গলবার হোম ম্যাচে রাজস্থানকে ১২ রানে হারাল পাঞ্জাব। ফলে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পাঞ্জাব উঠে এল লিগ টেবিলের চার নম্বরে। কেকেআর নেমে গেল পাঁচ নম্বরে (৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট)।
শুরুটা আগ্রাসী মেজাজে করলেও কাল রান পেলেন গেইল। ঝড়ের গতিতে ২২ বলে ৩০ রান করেন ক্যারবিয়ান ওপেনার। তিনটে ছয়ও মারেন। তার পরেই অবশ্য আউট হয়ে যান গেইল। তবে গেইল বড় রান না পেলেও পাঞ্জাবকে টানলেন কে এল রাহুল। গত কালই বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। এ বারের আইপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। মঙ্গলবারও ৪৭ বলে ৫২ করে গেলেন। শেষ ওভারে ব্যাট করতে নেমে চার বলে অপরাজিত ১৭ রান করে গেলেন অশ্বিন। শেষ ওভারে ১৮ রান তুলে ভাল জায়গায় চলে যায় পাঞ্জাব।
গতকাল ব্যাটে সফল পাঞ্জাবের ওপেনার লোকেশ রাহুল। ৪৭ বলে তাঁর ৫২ রানের ইনিংস সাজানো তিনটি বাউন্ডারি, দুটি ওভার বাউন্ডারিতে। রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন ক্রিস গেইলও (৩০)। তাঁকে ফেরান রাজস্থানের পেসার জোফ্রা আর্চার। তিনিই রাজস্থানের সবচেয়ে সফল বোলার। ৪ ওভারে কোনও মেডেন না পেলেও মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার অলরাউন্ডার।
পাঞ্জাবের এই জয়ের পিছনে রয়েছে দলগত প্রচেষ্টা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আর অশ্বিনের দল তোলে ছয় উইকেটে ১৮২ রান। এর পরে রাজস্থানকে তারা আটকে রাখে সাত উইকেটে ১৬৮ রানে। দু’টো করে উইকেট পান নবাগত অর্শদীপ সিংহ, অশ্বিন এবং মহম্মদ শামি। রাজস্থানের সর্বোচ্চ রান রাহুল ত্রিপাঠীর (৫০)। এই দুই দলের শেষ লড়াইয়ে বাটলারকে করা অশ্বিনের ‘মাঁকড়ীয় আউট’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। এই ম্যাচে কোনও বিতর্ক না হলেও হাসি থাকল সেই অশ্বিনদের মুখেই।
রাজস্থান এই ম্যাচে বাদ দেয় অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথকে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে গত কালই সুযোগ পেয়েছেন স্মিথ। কিন্তু তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারল না রাজস্থান। স্মিথের জায়গায় এই ম্যাচে রাজস্থান খেলায় অস্ট্রেলিয়ারই অ্যাশটন টার্নারকে। যে টার্নার ভারতের বিরুদ্ধে একাই একটি ওয়ান ডে জিতিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। এই ম্যাচে অবশ্য তিনি প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। রাজস্থানের সেরা বোলার অবশ্যই জোফ্রা আর্চার। চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। যে তিন শিকারের মধ্যে রয়েছে গেইলের উইকেটও।