মুর্শিদাবাদের জঙ্গীপুরের প্রচার সভা থেকে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রচার সভা থেকে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বলেন, ‘ওরা হিন্দু-মুসলিম ভাগাভাগি করে। কিন্তু আমরা করি না। আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান – সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ভালবাসি। কিন্তু ধর্মকে রাস্তায় নামিয়ে আনি না। ধর্ন নিয়ে ব্যবসা করি না’। মুর্শিদাবাদে সিপিএম এবং কংগ্রেস এক হয়ে লড়াই করছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
এদিন মোদী এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মোদীবাবুর অনেক গুণ। যার মধ্যে রয়েছে নোটবন্দী, কৃষক আত্মহত্যা। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী নেতানেত্রীদের ভয় দেখাতে ইডি ও আয়কর দফতরকে লাগানো হচ্ছে’। রাজ্যে চিটফান্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সারদা নারদা হয়েছিল ১৯৮০ সাল থেকে’। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন ২০১১ থেকে সারদার তদন্ত হবে?’ কেননা তাঁর সরকারই সারদা কর্তাকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করেছিল।
মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘চা-ওয়ালা এখন চৌকিদার হয়েছে। কে কী খাবে, কে কী পরবে, সেসব ঠিক করে দিচ্ছে। একটা ফ্যাসিস্ত সরকার চলছে। দেশে শুধু বিভাজনের রাজনীতি করেই ভোটে জিততে চাইছে ওঁরা। কিন্তু অসুর দমনে রোশানারা, জাহানারারাও জন্ম নেয় কখনও সখনও’। তবে এবারের ভোটে মানুষ যে ওদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত মমতা।
এদিনের প্রচার সভা থেকে কংগ্রেস ও সিপিএমকেও একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘ওরা একজোট হয়েছে। বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই ওদের যে কাউকে ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না’। বাংলায় ৪২-এ ৪২ আসন তৃণমূল পেলে বাংলাই যে দিল্লীর মসনদের নির্ধারক হয়ে উঠবে, সেটাও উপস্থিত জনতাকে মনে করিয়ে দেন মমতা।
