যত লোকসভা নির্বাচন এগোচ্ছে বিজেপির জনপ্রিয়তা ততই কমে যাচ্ছে। প্রথম দফা ভোটের পরই ক্রমশ বদলে যাচ্ছে সমীকরণ। পূর্বে বিজেপি যে পরিমাণ আসন পাবে বলে মনে করা হচ্ছিল, বর্তমানে সেই পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। আর এমনটাই দাবি করছেন পাবে বিজেপি। এমনটাই দাবি করছেন ভারতের প্রথম সারির দুই সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটার এবং সিএসডিএস। সি-ভোটারের শেষ সমীক্ষাতেও উঠে এসেছে মোদী সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাসের এই তথ্য। আর এই দিন ঠিক এমনটাই দাবি করেন সিএসডিএসের ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার।
তথ্য অনুযায়ী গত একমাসে মোদীর জনপ্রিয়তা কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। ভোটের আগে সর্বশেষ সমীক্ষায় সি-ভোটার এবং সিএসডিএস দুটি সংস্থায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি আসনে জিতিয়ে রাখছিল। কিন্তু প্রথম পর্বের ভোটের পরই তাঁরা অবস্থান বদলেছেন।
আগের সমীক্ষায় সিএসডিএস অনুমান করেছিল উত্তরপ্রদেশে ৩২ থেকে ৪০টি আসন পেতে পারে। কিন্তু প্রথম রাউন্ডের পরে তাঁরা তাদের অনুমান কমিয়ে করেছে ২০ থেকে ২৫টি আসন। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, যদি ভোটের হার না বাড়ে তাহলে বিহার এবং মহারাষ্ট্রেও প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম আসন পেতে পারে বিজেপি। আগের সমীক্ষায় বিহারে এনডিএ পাচ্ছিল ২৮ থেকে ৩৪ আসন। মহারাষ্ট্রে আসন সংখ্যার অনুমান ছিল ৩৮-৪২। কিন্তু সঞ্জয় কুমার বলছেন, পুলওয়ামার পরে যে মোদি হাওয়া তৈরি হয়েছিল, তা স্তিমিত। এখন ভোট হচ্ছে স্থানীয় ইস্যুতে। আর তা বিজেপির জন্য খারাপ খবর।
এত গেল সিএসডিএসের রিপোর্ট। অন্যতম সমীক্ষা সংস্থাও জানাচ্ছেন এমনই তথ্য। তাঁরা ভোটের আগে দাবি করেছিলেন মোদীর জনপ্রিয়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। আর প্রথম দফার পর তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে সেই পরিমাণ ৪৩ শতাংশ। এই হাওয়া বইতে থাকলে গেরুয়া শিবির যে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না মনে করছেন এই দুই সমীক্ষা সংস্থা।