আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএল ও আইলিগ একসঙ্গে মিশে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সেই কারণে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে পুরোনো আইলিগেই খেলতে হতে পারে। আলোচনায় থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টরের সঙ্গে কথা বলে খুশি নন আইএসএল কর্তারা। সে জন্যই নাকি ইস্টবেঙ্গল বাদের তালিকায় চলে গিয়েছে। এমনই খবর এআইএফএফের অন্দরমহলের। এ বার আইলিগের দু’তিনটে টিম আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তার মধ্যে কলকাতার দুই প্রধানও ছিল। দৌড়ে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানে ইনভেস্টর না থাকায় আলোচনার মধ্যে আসেনি।
ইস্টবেঙ্গল বাদ হয়ে যাওয়ার পরে চলতি বছরে আইএসএলে বিড ওপেন হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে বিড ওপেন হবে, তা জোর দিয়ে কেউ বলতে পারছেন না। আইএসএলের টিমগুলোর সঙ্গে দশ বছরের চুক্তি আইএমজি-রিলায়ান্সের। ফলে পাঁচ বছর পরে ফের একটা উলোট-পালট হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এই বিষয়ে কেউ কিচ্ছু বলতে পারছে না। সকলেই তাকিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেলের দিকে। কিন্তু লোকসভার ভোট নিয়ে তিনি ব্যাপক ব্যস্ত। আইলিগের বহু ক্লাব তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বসে রয়েছে। যদি তাঁর হস্তক্ষেপে অবস্থা কিছুটা বদলে যায়। আইএসএলের পক্ষ থেকে নতুন ‘বিড’ ওপেন করা হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের পুরোনো আই লিগেই খেলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ নেই।
এবার আই এস এলে খেলা তিন ভাল মানের বিদেশি ফ্রি-রা হলেন, মিকু, এডু বেদিয়া, মারসেলিনহো লেইটে। এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার আবির্ভাবেই চমকে দিয়েছিলেন। ১০ টা গোল করেছিলেন ও ৫ টি গোল করতে সাহায্য করেছিলেন। জিতে নিয়েছিলেন সোনার বুট, বল। এবারে খেলেন এফ সি পুনে সিটির হয়ে। কিন্তু খারাপ খেলেননি। ৮ টি গোল করেন ও ৭ টি সহায়তা করেন। এবারেও ১৫ টি গোলের ক্ষেত্রে তার অবদান আছে। ফ্রি হয়ে যাচ্ছেন তিনিও। এডু বেদিয়া স্প্যানিশজাত ফুটবলার। ম্যানুয়েল ল্যাঞ্জারত্তি গোয়া ছেড়ে এটিকেতে যোগ দেওয়ার পরে, গোয়া দলের মূল চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ান তিনি। মিকু কত বড় মাপের ফুটবলার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার দিকে প্রতিবারই নজর থাকে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের। কিন্তু চুক্তির যাতাকলে তাঁকে আর নেওয়া হয়ে ওঠে না দুই প্রধানের। এগিয়ে গিয়েও, পিছিয়ে আসতে হয়। এবার কিন্তু তার সঙ্গে ৩১ মে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুর। তিনি হয়ে যাচ্ছেন ফ্রি ফুটবলার। তার কাছে প্রস্তাব আছে দক্ষিণ আমেরিকার একটি ক্লাবের। কিন্তু ভারতেই খেলতে চান মিকু।