দেশ জুড়ে প্রবল ভাবে বইছে মোদী বিরোধী হাওয়া। কথা দিয়ে কথা না রাখার জন্যে মানুষ তিতিবিরক্ত তাঁর ওপর। আর এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের কোন্দল। অনেক প্রার্থীকে মেনে নিতে পারেননি দলের কর্মীরাই। যেমনটা হচ্ছে দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর ক্ষেত্রে। বহিরাগত এই প্রার্থীকে মানতে চাইছেন না কেউ।
বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা আদতে দিল্লির বাসিন্দা৷ তাই সমূহ সম্ভাবনা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাসের৷ ফলে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই একজোট হয়েছেন গ্রামবাসীরা৷ একথা বলাই বাহুল্য যে ভোটে যদি কোনোভাবে জিতে যান তাহলে মোটেও তিনি এখানে থাকবেন না, ফলে মানুষের সমস্যাতে সবসময় তিনি পাশে থাকবেন না। তাই ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে এখন থেকেই কার্যত ‘না’-এর বোর্ড দেখাচ্ছেন বাসিন্দারা। এমনকি দলের কর্মীরাও তাঁকে নিয়ে ক্ষুব্ধ।
যেহেতু প্রার্থী বহিরাগত, তাই তাঁকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ এই অভিযোগেই দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে প্রচার করতে বাধা দিলেন ইংরেজবাজার ব্লকের একদল গ্রামবাসী৷ এরপরই গ্রামবাসীরা বলতে থাকেন, তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কথা৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, বহিরাগত কেউ এসে এলাকায় বিভ্রান্তিকর প্রচার করতে চাইলেই তা মানা হবে না৷ তাদের এই দাবি কোনও দলের হয়ে নয়, নিরপেক্ষ মানুষ হিসাবে৷
এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন। গ্রামে গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মানুষ দেখেছে। তাই মানুষ এখন বিজেপির সাম্প্রদায়িক ভাঁওতাবাজিতে কান দিতে চাইছে না। এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কা করেই প্রচারে বাধা দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের খোয়ারমোড় এলাকায়৷ হাত জোড় করে ভোট ভিক্ষের আশায় শ্রীরূপাদেবী৷ হঠাৎ তাঁকে ঘিরে অসন্তোষের কথা জানাতে থাকেন গ্রামবাসীরা৷ তাদের দাবি, কেন বহিরাগত প্রার্থী হবেন? এলাকার সম্প্রীতি নষ্ট করতেই প্রার্থীর গ্রামে আসা৷ বিজেপির প্রার্থীর প্রচারে বাঁধা দেন তারা৷