পুলওয়ামার জঙ্গী হামলা, বালাকোটে বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ এবং ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের নাম, সেনাবাহিনীর প্রতি দেশবাসীর ভাবাবেগ, এই বিষয়গুলিকে কোনও মতেই নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এরপরেও কমিশনের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে এসবকে হাতিয়ার করেই চলছে বিজেপির ভোট প্রচার। আবারও দেখা গেল তার ঝলক।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
সেই হ্যান্ডল-বার গোঁফ। মাথায় টুপি, চোখ ঢেকেছে রোদ-চশমা। গলায় টি-শার্টের কলারের নীচে জড়ানো গেরুয়া স্কার্ফে জ্বল জ্বল করছে পদ্ম— বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক। একের পর এক মোদী-সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, ‘ইনি উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান, যিনি শুধু যে বিজেপির সমর্থনে নেমেছেন তাই নয়, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য পদ্মফুলে ভোটও দিয়েছেন। ইনি বলেন, মোদীর চেয়ে ভাল প্রধানমন্ত্রী কেউ হতেই পারেন না।’ সঙ্গে আবেদন, ‘জেহাদি ও কংগ্রেসিদের কাছে এই বার্তা ছড়িয়ে দাও, যারা কখনও কোনও সেনাকে জীবিত উদ্ধার করে আনতে পারেনি।’
সেনাদের ভোট-প্রচারে ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, এই সব মোদী-ভক্তদের কানে তা পৌঁছনোর কথা নয়। তার চেয়েও বড় কথা যে ছবিটি অভিনন্দন বর্তমানের বলে যে দাবি করা হচ্ছে, খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, সেটিও একেবারেই অসার। ছবির মাথা এবং চোখ ঢাকা লোকটির সঙ্গে অভিনন্দনের মিল কেবল গোঁফে। উইং কম্যান্ডারের ঠোঁটের নীচে বাঁ দিকে যে জড়ুলটি রয়েছে, সেটি এঁর নেই। আবার এই লোকটির বাঁ গালে যে জড়ুল রয়েছে, অভিনন্দনের তা নেই। ছবির লোকটি অভিনন্দনের চেয়ে বেশ মোটাসোটাও।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
শুধু তাই নয়, দেশের বিমান বাহিনীর নিয়ম-কানুন অনুযায়ী উইং কমান্ডার অভিনন্দন কোনও দলের হয়ে মাঠে নামতেই পারেন না। কোনও দলের কর্মী হিসেবে প্রচারের প্রশ্নও নেই। কিন্তু তারপরও নিজেদের ‘মূর্খামি’র পরিচয় দিয়ে ওই ছবিকে হাতিয়ার করেই প্রচারে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করছেন নেটিজেনদের একাংশ। শুধু তাই নয়, ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও। কংগ্রেস যেমন জানিয়েছে, এই ধরনের জাল ছবি ব্যবহার করে ‘বেআইনি প্রচারের জন্য’ তারা সোশ্যাল সাইট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সরব দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। তাদের মতে, এমন কাজ নির্বাচনী বিধিভঙ্গেরই সামিল।
[Total_Soft_Poll id=”7″]