ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহীদ হওয়ার ঘটনাকেও এবার নির্বাচনী ইস্যু বললেন মোদী! ‘যদি কৃষক মারা যেত তাহলে সেটা নির্বাচনী ইস্যু, আর যখন সেনা শহীদ হচ্ছে সেটা নির্বাচনী ইস্যু নয়? সেটা কি করে হয়?’ হ্যাঁ, দেশে ভোট মরশুমে এই প্রশ্নই তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। যা শোনার পর গোটা দেশের একই প্রতিক্রিয়া, এ কি বললেন প্রধানমন্ত্রী! জাতীয় সরকারি সংবাদমাধ্যমে বসে এমন সাক্ষাৎকার কি করে দিলেন মোদী? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার হামলা ও বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকেই বিরোধীরা বারবার এই অভিযোগ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী দেশের সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব, তাঁদের শহীদ হওয়ার ঘটনাকে লোকসভা নির্বাচনের কাজে লাগাচ্ছেন। বিরোধীদের এই দাবিকে নস্যাৎ করতেই মোদী সাক্ষাৎকার দিতে বসেছিলেন দূরদর্শন এবং রাজ্যসভা টিভিতে। সেখানে তিনি বলেছেন, জাতীয়তাবাদ এবং ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহীদ হওয়ার ঘটনা অনেক বেশি নির্বাচনী ইস্যু কৃষক মৃত্যুর ইস্যুর থেকে।
সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁর দাবি, ‘গত ৪০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ ভারতের মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় মানুষকে জানানোর। যদি আমরা তাঁদের না বলি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি এই বিষয়ে, তাহলে যুক্তিটা কি সেই বিষয়ের? কোনও দেশ কি জাতীয়তাবাদের অনুভূতিকে বাদ দিয়ে এগোতে পারে? দেশে হাজার হাজার সেনা শহীদ হচ্ছেন। সেটা কি নির্বাচনী ইস্যু নয়? যদি কৃষক মারা যেত তাহলে সেটা নির্বাচনী ইস্যু, আর যখন সেনা শহিদ হচ্ছে সেটা নির্বাচনী ইস্যু নয়? সেটা কি করে হয়?’
[Total_Soft_Poll id=”6″]
মোদীর এই বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন স্পষ্ট করে দিলেন সেনাবাহিনীর বিষয়টিও বিজেপির নির্বাচনী ইস্যু। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন তিনি। অন্যদিকে কৃষকদের ইস্যুকে সরাসরি অবহেলা করে দূরে ঠেলে সরিয়ে দিলেন। এক্ষেত্রে মান্যতা পেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ। তিনি আগেই বলেছিলেন, কেন্দ্রে শ্রমিক-কৃষক বিরোধী সরকার চলছে। ফ্যাসিবাদের নায়ক নরেন্দ্র মোদী। হিটলার বেঁচে থাকলে তিনিও আজ মোদীকে দেখে আত্মহত্যা করতেন।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের তোলা অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে, পুলওয়ামার জঙ্গী হামলা, বালাকোটে বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ এবং ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের নাম, সেনাবাহিনীর প্রতি দেশবাসীর ভাবাবেগ, এই বিষয়গুলিকে কোনও মতেই নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু তারপরেও কমিশনের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেই সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাজনীতি জারি রেখেছে বিজেপি। এবার মোদীর কথাতেও মিলল তার স্পষ্ট ইঙ্গিত।
[Total_Soft_Poll id=”7″]