মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অসহায় মানুষদের জন্য কতটা তৎপর তা আবার প্রমাণ হল আজকের তাঁর কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে। জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদে জেরে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় তপনের কিছু অসহায় মানুষের বাড়িঘর। আর এই খবর পাওয়া মাত্রই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন জননেত্রী।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
মঙ্গলবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বুনিয়াদপুরের নারায়ণপুর ময়দান থেকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার কথা বলেন। তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। এইদিন তিনি দলীয় প্রার্থীর হয়ে বালুরঘাটের দুই জায়গায় সভা করেন। এইদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রথমেই তিনি রাজ্য সরকারের কাজের তালিকা তুলে ধরেন উপস্থিত সকল শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে। যদিও তা তুলে ধরার কোন প্রয়োজন নেই কারন তাঁর কাজই সেই উত্তর দেয় সবসময় বলে মনে করেন এলাকার মানুষজন। আর তারপরই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন এলাকার অসহায় পরিবারের পাশে তাঁর সরকার সর্বদা রয়েছেন তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন।
সকালে খবরের কাগজ দেখেই রবিবার রাতে তপনের গুলডাঙার ঘটনাটি তিনি জানতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি এখানকার জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, স্থানীয় বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা এবং প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের কাছে খোঁজখবর নেন। নেত্রী এইদিন সভা মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আমি চাই না কেউ অসহায় থাকুক। কারও বাড়ি পুড়ে গেলে, কারও ঘর ভেসে গেলে কিংবা কারও জমি চলে গেলে আমরা সাহায্য করি। এটা আমাদের কাজ। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যারা দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের প্রশাসন গ্রেপ্তার করেছে। আমরা মানুষের হয়ে কাজ করি। আমার সঙ্গে যারা রয়েছে তারাও মানুষের জন্যই কাজ করেন।’
[Total_Soft_Poll id=”6″]
প্রসঙ্গত, দুই পক্ষের বিবাদে রবিবার রাতে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় তপন থানার রামপাড়া চেঁচড়ার গুলডাঙা গ্রামে। পুড়ে যায় ৮ টি বাড়ি। অসহায় হয়ে পড়ে কিছু পরিবার। মূলত পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে কিছু মানুষ। তাঁরা শিশুসন্তান নিয়ে অসহায় ভাবে আছে এমন ঘটনা চোখ এড়ায়নি তৃণমূল সুপ্রিমোর। অসহায় মানুষদের পাশে থাকার বার্তা সবসময় তাঁর সরকার দিয়ে এসেছেন। এটা তাঁরই এক উদাহরণ।
[Total_Soft_Poll id=”7″]