এক অদ্ভুত অন্ধকার নেমেছে প্যারিস শহরটার গা বেয়ে। আর আকাশ জুড়ে রয়েছে ধূসর ধোঁয়ার কুন্ডলী। প্যারিসের প্রিয় উপাসনার মন্দির ‘নোত্র দাম’-এর গায়ে আগুনের লেলিহান শিখা! আগুনের গ্রাস থেকে উপাসনা গৃহকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্ঠা চালাচ্ছে প্যারিসের অগ্নি-নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। এরমধ্যেই সূচ্যগ্র মিনারের অকস্মাৎ পতন। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
সমগ্র প্যারিসবাসীর মনে, এ কেবল ইঁট-পাথর বালির ইমারত নয়, এ হল মনের মন্দির। প্রায় সাড়ে আটশো বছরেরও বেশি পুরনো গির্জাটিতে কিছু দিন ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেই কাজের সময়েই কোনও ভাবে আগুন লাগে। গির্জা খালি করে দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সন্ধে পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরের জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। সেটি বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। প্যারিসের মেয়র আন হিদালগো টুইটারে আর্জি জানিয়েছিলেন, ‘গির্জার কাছাকাছি যাওয়ার কোনও রকম চেষ্টা না-করতে’। দমকল প্রধান জঁ ক্লদ গালে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এর পর গির্জার বিশাল ঘণ্টাগুলি ভেঙে পড়তে পারে। কিন্তু সবটা এখন নিয়ন্ত্রণে।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
প্যারিসের এই নোত্র দাম ক্যাথিড্রালটি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত, মধ্যযুগীয় ক্যাথিড্রালটিকে স্থাপত্য ধর্মের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি প্যারিসের সব চেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি, আনুমানিক এক কোটি ত্রিশ লক্ষ দর্শক আসেন প্রতি বছর। মধ্য প্যারিসের এই এলাকাটি সব সময়ে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকে থিকথিক করে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ জানালেন, দমকলকর্মীরা তাঁকে জানিয়েছেন, একসময় মনে হচ্ছিল, আগুনের গ্রাসে পুরো কাঠামোটাই ভেঙে পড়বে। কয়েক শতাব্দীর পুরানো গির্জাটি ধ্বংস হয়ে যাবে একেবারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। প্রেসিডেণ্ট জানিয়েছেন, পুড়ে যাওয়া অংশ আবার গড়ে তোলা হবে।
[Total_Soft_Poll id=”7″]