[Total_Soft_Poll id=”5″]
‘জনগণের দরকার, তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার’। মঙ্গলবার ইটাহারের সভা থেকে এভাবেই দিল্লীতে সরকার বদলের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সাফ জানিয়ে দেন, পাঁচ বছরের জন্য মোদীকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। উনি ব্যর্থ হয়েছেন। ওঁকে আর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। একইসঙ্গে নোটবন্দী, কৃষক সমস্যা-সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ শানান মমতা।
এদিন বুনিয়াদপুরে বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারের কাজের খতিয়ান, উন্নয়ন যেম্ন তুলে ধরেছেন ঠিক তেমনই বিজেপি সরকারকেও বিভিন্ন ইস্যুতে এদিন তোপ দাগেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসি নিয়ে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘বলছে এনআরসি করবে। আগে এন ছুঁয়ে দেখাক তারপর আরসি করতে আসবে’। রামনবমী উপলক্ষ্যে বিজেপির অস্ত্র মিছিলকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘এরাজ্যে গদা-তলোয়ার নিয়ে মিছিল কেন হবে? মা দুর্গার হাতে ত্রিশূল রয়েছে বলে আমরাও কি তা হাতে তুলে নেব? বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে৷ কিন্তু হিন্দুধর্ম অনেক বড়৷ আমাদের হিন্দুধর্ম যেমন মহান৷ তেমনই ইসলাম ধর্মও মহান৷ সকলের ধর্মকে সম্মান করা উচিত’।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
এদিনের সভা থেকে কংগ্রেস ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে লড়াই করছে তৃণমূল। কংগ্রেস কিংবা সিপিএম তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টে বহরমপুর, জঙ্গীপুরের মতো কিছু কেন্দ্রে বিজেপি কংগ্রেসের প্রচারে সাহায্য করছে। এমনকী কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে আরএসএস-ও মাঠে নেমে পড়েছে’।
[Total_Soft_Poll id=”7″]
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পাশাপাশি রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে তিনি বালুরঘাটের জন্য কীকী উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এদিন তার বর্ণনাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে বিজেপি আমলের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। বলেন, ‘বিজেপি আমলে বাংলা নতুন ট্রেন পায়নি। ইটাহারে যেমন কর্মতীর্থ তৈরি করা হয়েছে, তেমনই রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় তীর্থস্থানের উন্নয়ন করা হয়েছে’। মমতার কথায়, ‘আমরা ধর্মনিরপেক্ষ সরকার৷ এরাজ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই৷ আমরা সমস্ত ধর্মস্থানের উন্নয়ন করেছি৷ সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থানেরও উন্নয়ন করেছি৷’