প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেকে চৌকিদার বলে দাবি করার পর থেকেই তাঁকে তুলোধনা করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ দেশের সকল বিরোধীদের গলাতেই এখন এক সুর, ‘চোকিদার চোর হ্যায়।’ এরই মধ্যে এবার মোদীর বিরুদ্ধে সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সাকেত গোখলে। নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তি গোপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সাকেত। সেইসঙ্গে মোদীর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব জানতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনেরও আবেদন করেছেন তিনি।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৫ শে অক্টোবর গুজরাত সরকারের জমি বন্টন স্কিমে মোদী গান্ধীনগর সেক্টর ওয়ানে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন। ২০০৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় এই ৪১১ নম্বর প্লটটির কথা তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখও করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০০ সালে গুজরাত সরকারের এই জমি বন্টন প্রকল্প নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে গুজরাত হাইকোর্ট। ২০১২ সালে ২ রা নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছিল।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, আপাতত এই জমি বন্টন স্কিমের মাধ্যমে কোনও জমি বন্টন হবে না এবং হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া ইতিমধ্যেই যাঁরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে জমি পেয়েছেন, তাঁরা সেই জমি হস্তান্তরও করতে পারবেন না। কিন্তু ওই মামলার শুনানি থেকে বিভিন্ন সময় বিচারপতিরা নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায়, ২০১৭ সালের ২৮ শে আগস্ট গুজরাত হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এই মামলা। তবে তথ্য বলছে, এরপরও সংশ্লিষ্ট মামলার বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।
সেই সূত্র ধরেই আবেদনকারী সাকেতের অভিযোগ, মোদী ওই ৪১১ নম্বর প্লটের কথা আর কখনও তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এমনকি ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় বা ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে নিজের সম্পত্তি জনসমক্ষে আনার সময়ও রহস্যজনকভাবে এই সম্পত্তির উল্লেখ বাদ থেকে গেছে। সাকেতের দাবি, এখনও এই সম্পত্তি নরেন্দ্র মোদীর নামেই রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বিষয়টিকে তেমন আমলই দেয়নি।
[Total_Soft_Poll id=”7″]