[Total_Soft_Poll id=”5″]
গত ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। সেদিন প্রথম দফা ভোটের পর আগামী ১৮ এপ্রিল লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ওই দিন সারা দেশে মোট ৯১টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের আটটি কেন্দ্র। যোগী রাজ্যের পশ্চিমে অবস্থিত এই আটটি আসনেই গতবার বিজেপি জিতেছিল আর যেহেতু এই আটটির মধ্যে চারটি সংরক্ষিত তফসিলি জাতির জন্যে, তাই মায়াবতীর বিএসপি-র জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দফা। যে আটটি আসনে নির্বাচন হবে আগামী বৃহস্পতিবার, তার মধ্যে বসপা ছ’টিতে এবং তাদের জোটসঙ্গী সপা একটিতে প্রার্থী দিয়েছে। যেহেতু মুসলমান, দলিত, জাঠ এবং গুজ্জর সম্প্রদায় অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে, তাই বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছে মহাজোট।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
প্রসঙ্গত, একটি ব্যাপারে সপা-বসপা-রালোদ মহাজোটের নেতৃত্ব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। এবং তা হল তাদের মঞ্চে কংগ্রেসের অনুপস্থিতি। একদিকে যেমন কংগ্রেসের দুর্বলতা রাজ্যের প্রধান দুই দলকে রাহুল গান্ধীর প্রতি নিস্পৃহ রেখেছে, তেমনই কংগ্রেসের অনুপস্থিতির ফলে নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণকেও অনেকটা ভোঁতা করে দেওয়া গিয়েছে বলে তাঁদের অভিমত। কারণ কংগ্রেস জোটে থাকলে মোদীর সুবিধে হত। তখন মোদী এবং বিজেপি তাঁদের চিরাচরিত পরিবারবাদ ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক স্লোগানে আক্রমণ করত মহাজোটকে, যার ফলে উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় রাজনীতির মধ্যে ঢুকে পড়ত জাতীয় বিষয় আর তাতে অসুবিধে হত মায়াবতী-অখিলেশদেরই। কিন্তু কংগ্রেস না থাকাতে মোদীকে এখন সপা-বসপা-রালোদের মহাজোটকে ‘মহামিলাবট’ বলে আক্রমণ শানাতে হচ্ছে।
[Total_Soft_Poll id=”7″]
তবে বিজেপি বেকায়দায় পড়েছে আরও একটি কারণে। আসলে বিজেপির পক্ষে রাতারাতি স্থানীয় বিষয় নিয়ে মুখ খোলা সহজ নয়, কারণ তাদের নিজের সরকার এখন উত্তরপ্রদেশে বিরাজমান। আর এখানেই বাজিমাত করার জন্যে ঝাঁপাচ্ছে মহাজোট। গতবছর উপনির্বাচনে জিতে ভোট ভাগাভাগির কথাকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ অখিলেশ-মায়াবতীরা। কারণ এবারের লোকসভা ভোটে তাঁদের জয় নিয়ে প্রায় নিশ্চিত বুয়া-বাবুয়া। ইতিমধ্যেই তাঁদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে একাধিক সমীক্ষা। কারণ ফলও মহাজোটের পক্ষেই গেছে।
