সোমবারই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীকে শাস্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট প্রচারে বেরিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জেরেই কমিশনের কোপে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো। আর যোগী, মায়াবতীর পর এবার কুকথার মাশুল গুনতে হচ্ছে আজম খান এবং মানেকা গান্ধীকে। দু’জনের বিরুদ্ধেই নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য আজম খানের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর মানেকা গান্ধীর ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ধার্য হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে তাঁরা আর প্রচার করতে পারবেন না। ফলে নির্বাচনের প্রাক্কালে বেজায় বিপাকে পড়লেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার রামপুরের সভায় জয়াপ্রদার নাম না করে সপা নেতা আজম খান বলেন, ‘মানুষটা ১০ বছর ধরে রামপুরের লোকজনের রক্ত চুষেছে। আমি তাঁর হাত ধরে তাঁকে রামপুরে এনেছিলাম। রামপুরের পথঘাটের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করাই। কাউকে স্পর্শ করতে দিইনি তাঁকে। কাউকে একটা কুমন্তব্য করতে দিইনি। আপনারা তাঁকে ১০ বছরের জন্য প্রতিনিধি বানালেন। তাঁর আসল রূপ চিনতে আপনাদের ১৭ বছর লেগে গেল। আমি তো ১৭ দিনেই বুঝতে পেরেছি তাঁর অন্তর্বাস খাকি রঙের।’ জয়প্রদার প্রতি এমন নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য আজম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এবং অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাঁর বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল কমিশন।
অন্যদিকে, বিজেপির বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে প্রচারে গিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি চাই, মুসলিমরাও আমাকে ভোট দিন। ওঁদের ভোট ছাড়া আমি জিততে চাই না। তবে ওঁদের ভাবগতিক দেখে আমি কষ্ট পেয়েছি। আমাকে যদি মুসলিমরা ভোট না দেন, তা হলে আমিও কোনও মুসলিমকে চাকরি দিতে চাইব না। তখন কোনও মুসলিম আমার কাছে এসে চাকরি চাইলে, আমাকেও ভাবতে হবে। চাকরি তো একটা চুক্তি। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। মুসলিমদের বুঝতে হবে, এটা দেওয়া-নেওয়ার বিষয়। আমি আপনাদের (মুসলিম) জন্য কাজ করে যাব আর আপনারা আমাকে ভোট দেবেন না, এটা হতে পারে না। আমরা কেউই মহাত্মা গান্ধীর সন্তান নই।’ এমন সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের কারণেই মানেকার প্রচারে দু’দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন।