বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপ দলে কেন ঋষভ পন্থকে না নিয়ে দীনেশ কার্তিককে নেওয়া হল! সুনীল গাভাসকর থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকর, নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে অবাক সবাই। সোমবার মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসে এই প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ বলেন, “আমরা এই দু’জনের নাম নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, কার্তিক বা পন্থ— তখনই প্রথমে এগারোয় সুযোগ পাবে যদি মাহি (মহেন্দ্র সিংহ ধোনি) চোট পায়। সে ক্ষেত্রে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে কিপিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ধোনি না থাকলে চাপটা কে বেশি ভাল সামলাতে পারবে, সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। যে কারণের জন্যও কার্তিককে দলে রাখা হয়েছে”।
দিল্লীর তরুণ উইকেটকিপার সম্পর্কে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এও বলেন, “পন্থ প্রায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। ওর দুর্ভাগ্য, অল্পের জন্য দলে জায়গা পেল না। তবে পন্থের প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই”। নির্বাচক প্রধান অবশ্য মনে করেন, বিশ্বকাপের জন্য সেরা দলটাই বেছে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজার দলে থাকা নিয়ে প্রসাদ বলেছেন, “গত কয়েক বছরে আমাদের দুই রিস্ট স্পিনার অনেক উইকেট পেয়েছে। আমাদের মনে হয়, বিশ্বকাপের সময় ইংল্যান্ডে উইকেটগুলো একটু শুকনো থাকবে। সেখানে জাডেজা কাজে লাগতে পারে”।
ঋষভ বাদ পড়ায় ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরও বিস্মিত। সানি এই প্রসঙ্গে বলেন, “গত এক বছর সুযোগ পেয়ে ঋষভ ব্যাটিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছে। এছাড়া আইপিএলে লক্ষ্য করলাম, ওর উইকেট কিপিংও বেশ ভালো হচ্ছে। তাই ঋষভ বাদ পড়ায় আমি যথেষ্ট অবাক হয়েছি। এছাড়া ঋষভ হল বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। লেফট-রাইট কম্বিনেশন ক্রিজে থাকলে বিপক্ষ দলকে ঘন ঘন ফিল্ড প্লেসিং বদল করতে হয়। প্রথম ছ’জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে অন্তত দু’জন বাঁ-হাতি থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়া ধোনির শ্যাডো হিসাবে ওকে পরবর্তী উইকেটরক্ষক হিসাবে গ্রুম করা উচিত ছিল নির্বাচকদের”।