বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন অনেক মানুষ। মাত্র ৯ মাস আগে বিয়ে হয়েছে দিনমজুর নীলু মণ্ডলের মেয়ে সুস্মিতা মণ্ডল। রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকাই সুস্মিতার বিয়ের কাজে অনেকটা সাহায্য করেছে। কন্যাদায় গ্রস্থ গরিব বাবা ও মাকে ওই প্রকল্পের টাকাই কন্যাদায়–মুক্ত হতে সাহায্য করেছে। সুস্মিতাও তাঁর নতুন জীবনে সুষ্ঠুভাবে প্রবেশে করতে পেরেছে শুধু ওই প্রকল্পের হাত ধরেই। তাই নববিবাহিতা সুস্মিতা ঠিক করেছিলেন, যিনি এভাবে তাঁর নতুন জীবনে প্রবেশে সাহায্য করেছেন, তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাবে। আর এবারের লোকসভা ভোটই তাঁকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। তাই জীবনের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে দিদির দলকেই পছন্দের তালিকায় প্রথমে রেখেছেন এই ‘রূপশ্রী কন্যা’।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
সুস্মিতার বাড়ি সোনারপুর উত্তর বিধানসভার জগদীশপুরে। ঠিক ৯ মাস আগে সোনারপুর দক্ষিণের শীতলায় বিয়ে হয় তাঁর। সুস্মিতার স্বামী বাপি মণ্ডল বেসরকারি কোম্পানির কর্মী। সুস্মিতা সোনারপুর মহাবিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে স্নাতক। এর পর পরিবার থেকে তাঁর বিয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু হয়। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো না থাকার কারণে তাঁর বিয়ে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সুস্মিতার বাবা-মায়েরা। গত বছর জুন মাসে বাপির পরিবার তাঁকে দেখতে আসে। সুস্মিতাকে পছন্দ হয়। তার পরেই তাঁরা কয়েকদিনের মধ্যে বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেন।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
অল্প সময়ে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে অথৈ জলে পড়ে দিনমজুর পরিবার। সে সময় এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য রঞ্জন বৈদ্য এগিয়ে আসেন। তিনিই সরকারের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন ওই গরিব দিনমজুর পরিবারকে। সুস্মিতার মা কৌশ্যলাদেবী বলেন, “সে সময় ওই টাকাটা না পেলে মেয়ের বিয়ে কী করে দিতাম, তা জানি না। দিদি আমাদের মতো গরিব মানুষদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। ওঁর ঋণ শোধ করতে পারব না”। আর সুস্মিতা তাঁর নতুন জীবনে প্রবেশ করে বলছেন, “শুধু আমি এক নই, আমার মতো যারা দিদির এই প্রকল্পের হাত ধরে নতুন জীবনে প্রবেশ করেছে, তাদের সবার উচিত দিদির দলকেই পছন্দের তালিকায় প্রথমে রাখা”।
[Total_Soft_Poll id=”7″]
