লোকসভা নির্বাচনের জেরে এই বছর জলপাইগুড়ি জেলার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের মিলন মেলা হচ্ছে না। ফলে ভারত-বাংলাদেশ এই দুই প্রতিবেশী দেশের মানুষের মনখারাপ। প্রত্যেক বছর চৈত্র সংক্রান্তির দিন দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দু’পাশে ভিড় করেন ভাব বিনিময় এবং মিলিত হওয়ার জন্য। কিন্তু জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফার ভোট আগামী ১৮ এপ্রিল। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবার মিলন মেলার অনুমতি দিল না প্রশাসন। পয়লা বৈশাখে তাই মন ভারাক্রান্ত দুই দেশের অসংখ্য মানুষের।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা কম। দেশে লোকসভা নির্বাচনের কারণে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের ভোটের ডিউটির জন্য ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তাই সংক্রান্তির দিন ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে মিলন মেলার অনুমতি দেওয়া হলে নিরাপত্তার একটা বড় সমস্যা হতে পারে। তাই দুই দেশের মধ্যে এই মিলন মেলা স্থগিত রাখা হয়েছে।
ভোটের আবহে দুই দেশের মানুষের মিলিত হওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই এই মেলা স্থগিত রাখা হয়েছে। রাজগঞ্জ ব্লকের গাডরা, ভোলাপাড়া, শুখানি, খালপাড়া এলাকায় প্রত্যেক বছর মিলন মেলা হয়। সীমান্তে গিয়ে দুই দেশের মানুষ তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা একে–অপরকে উপহারও দিয়ে থাকেন। এমনকী বাংলাদেশের ইলিশও বিক্রি হয়ে থাকে এইসময়।
