অবশেষে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীকে শাস্তি দিল নির্বাচন কমিশন।
ভোট প্রচারে বেরিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন যোগী ও মায়াবতী। তার জেরেই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো। কমিশনের নির্দেশ, ১৬ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যোগী আদিত্যনাথের প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মায়াবতীর উপর নিষেধাজ্ঞা বসেছে ৪৮ ঘণ্টার। ওই নিষেধাজ্ঞা বলবত্ থাকাকালীন কোনও জনসভা ও পথসভা করতে পারবেন না তাঁরা। সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না সংবাদমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তাঁরা। যোগীর ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে মূলত তাঁর ‘মোদীজি কা সেনা’ মন্তব্যের জন্য। বিভিন্ন প্রচারসভায় গিয়ে সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে এনেছেন তিনি। সম্প্রতি গাজিয়াবাদের একটি সভায় যোগী বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের লোকজন সন্ত্রাসবাদীদের বিরিয়ানি খাওয়াত। আর মোদীজির সেনা তাদের শুধু বুলেট আর বোমা দেয়’। তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেন তাঁর দলের নেতারাই।
ভোটের মরসুমে রাজনীতিকদের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। মামলাটি দায়ের করেন হরপ্রীত মনসুখানির আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। তাঁর দাবি, ‘৩২৪ ধারায় নির্বাচন কমিশনের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। চাইলে তা প্রয়োগ করা যেতে পারে’। এই নিয়ে সোমবার সকালেই নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে কমিশনকে বলা হয়, ‘ঘুমিয়ে না থেকে কর্তব্য পালন করুন’। শীর্ষ আদালতের ‘ধমক’ খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যোগী ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল কমিশন।
