ভোটের মরশুমে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ প্রচার রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাঁর উত্তরবঙ্গের সভায় এসে ভিড় করেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে গিয়েও জনসভা করেছেন। আজ ও কাল কলকাতায় থেকে আবার জেলা সফর শুরু করবেন তিনি। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোট চেয়ে ভিডিও করেছেন। এই ভিডিও তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানো হচ্ছে। এই ভিডিও ঘিরে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বালুরঘাটে এবারও প্রার্থী হয়েছেন অর্পিতা ঘোষ। ২০১৪–য় অর্পিতা তৃণমূলের প্রতীকে বালুরঘাট থেকে প্রথম জয়ী হন। গত ৫ বছরে তিনি এলাকায় ভাল কাজ করেছেন। সাংসদ তহবিলের সব টাকাই উন্নয়নের কাজে ব্যয় করেছেন। অর্পিতা সম্পর্কে মমতা ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “অর্পিতা আমার প্রিয় নাট্যকর্মী। ওকে আমি খুব ভালবাসি। একবার একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ সংশয় হয়। তারপর ধীরে ধীরে ও ভাল হয়ে ওঠে। এলাকায় প্রচুর কাজ করেছে। আপনারা অর্পিতাকে আবার ভোট দিয়ে জয়ী করুন। আগামী দিনে ও আরও ভাল কাজ করবে। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমাদের পাশে
অর্পিতা ছিল”।
রায়গঞ্জ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বিধায়ক ছিলেন। মমতা ভিডিওতে বলেন, “খুব ভাল মানুষ। হিন্দি ভাষাভাষী ভাইবোনেদের প্রত্যাশা ছিল, ওদের সম্প্রদায়ের একজনকে প্রার্থী করা হোক। তাই কানাইয়ালালকে প্রার্থী করেছি। মাটির মানুষ। রায়গঞ্জের হয়ে কানাইয়ালাল অনেক কাজ করবে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি–কে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। কানাইয়ালালকে জিতিয়ে আনুন”।
জঙ্গিপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন খলিলুর রহমান। খলিলুর রহমান সম্পর্কে মমতার আবেদন, “অনেক মানুষের সঙ্গে তিনি মিশতে পারেন। এলাকার পরিচিত। ভাল কাজ করেন। বিজেপি–র বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করুন। কংগ্রেস, সিপিএমকে একটি ভোটও দেবেন না”।
জলপাইগুড়ি থেকে বিজয়চন্দ্র বর্মন ২০১৪ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হন। মেখলিগঞ্জ, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম–ফুলবাড়ি ও মাল— এই ৭টি বিধানসভা নিয়ে তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি লোকসভা। বিজয়চন্দ্র বর্মনের হয়ে ভোট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “সব সময় মানুষের পাশে থাকেন। আগামী দিনেও থাকবেন। আমরা যেখানে শক্তিশালী, সেখানে বিজেপি–বিরোধী ভোট ভাগ হোক আমি চাই না। সকাল সকাল ভোট দেবেন। বিজয়বাবুকে ফের জয়ী করুন। আগামী দিনে জলপাইগুড়িতে আরও কাজ হবে”।