বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মোদীর৷ প্রথম দফা ভোটগ্রহণের ঠিক আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আদালত রাফাল-চুক্তির ‘চুরি যাওয়া’ নথি খতিয়ে দেখবে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পাঁচ দিন আগে ফরাসি সংবাদপত্র ‘ল্য মোঁদ’-এর রিপোর্ট জানাল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্সের দাসো সংস্থার থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক মাস পরেই ফ্রান্স সরকার অনিল অম্বানীর একটি সংস্থাকে ১৪৩.৭ মিলিয়ন ইউরোর পাওনা কর মকুব করে দিয়েছিল। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ অন্তত ১১০০ কোটি টাকা৷ ভোটের সময় এই তথ্যে মোদীর বিরুদ্ধে জোরালো অস্ত্র পেল সমস্ত বিরোধী শক্তি৷
বিরোধীরা বলছেন, “রাফালের সঙ্গে ১১০০ কোটি করছাড়ের ‘পুরস্কার’ পেয়েছেন অনিল! অভিযোগ, বায়ুসেনাকে টপকে রাফাল দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেআইনি ভাবে প্যারিসে বসে দর কষাকষি করেছিলেন।
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ আগেই বলেছেন যে, মোদীই দাবি তুলেছিলেন, রাফাল-চুক্তির বরাত অনিল অম্বানীর সংস্থাকে দিতে হবে।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কি অনিল অম্বানীর ‘মিডল ম্যান’ হিসেবে কাজ করছিলেন? ফ্রান্সের থেকে যুদ্ধবিমান কেনার বিনিময়ে কি অনিল অম্বানীর জন্য এই কর ছাড় আদায় করা হয়েছিল?’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এ বার তো স্পষ্ট যে, এক জন চৌকিদারই চোর। এ হল মোদী-কৃপা! এই জন্যই বলা হচ্ছে, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!’’ বিরোধীরা আরও বলছেন, ‘‘মানুষের টাকায় মাত্রাছাড়া দামে রাফাল কেনা হয়েছে। যাতে সেই টাকায় এক জন ব্যবসায়ীর সুবিধা হয়, ফ্রান্স সরকার তাঁর কর মকুব করে দিতে পারে।’’
নয়া অভিযোগ নিয়ে বিজেপি মুখ না খুললেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই কর মকুবের সঙ্গে রাফাল কেনার সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস নেতা সুরজেওয়ালার মন্তব্য, ‘‘এ তো ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি! প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কেন বেসরকারি সংস্থার মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছে!’’ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের কটাক্ষ, ‘‘চৌকিদারের বন্ধু সত্যিই ভাগ্যবান!’’