বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে করে গোটা বাংলায় যে শান্তি এনেছেন বিজেপি সবসময়েই তা নষ্ট করার চেষ্টায় থাকে। ভোটের আবহেও বহাল রয়েছে সেই ধারা। তবে মমতার সৈনিকেরাও তাঁর মতনই ক্ষুরধার বুদ্ধি সম্পন্ন তাই বিজেপির ফাঁদে পা দিচ্ছে না কেউই।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেও এরকমই প্ররোচনা তৈরি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে গেছিল যে তৃণমূল হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এবার আর সেই পথে হাঁটছে না দল। এবার বিজেপির যাবতীয় আক্রমণকে তুলে ধরছেন মানুষের সামনে। দল মনে করছে মানুষের দরবারেই হবে বিজেপির বিচার।
গত নির্বাচনের মতো এবারও বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় প্ররোচনা তৈরি করছে বলে অভিযোগ। কখনও বিএনআর মোড়ে তৃণমূলের অফিসের সামনে প্রচার গাড়ি দাঁড় করিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাজানো হচ্ছে বিতর্কিত সেই গান। আবার কখনও রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের নামে ভুয়ো অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। কখনও আবার খোদ বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের পোস্টার আগুনে পুড়িয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও তৃণমূল কোথাও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তারা সবকিছু বিচারের ভার জনতার উপর ছেড়ে দিয়েছে বলে নেতৃত্বর দাবি।
এবার তৃণমূল অনেক সংযত। সেকারণেই বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় বারবার মেজাজ হারাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বৃহস্পতিবার তিনি মেজাজ হারিয়ে অণ্ডালে এক যুবককে চড় মারেন বলে অভিযোগ। ওই গ্রামেরই আরএক যুবক চৌকিদার চোর বলায় তাঁকে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জামুড়িয়াতেও তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তিনি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এসব মানুষ দেখছেন, তারাই বিচার করবেন বলে মনে করছেন মমতার দল।
তৃণমূলের সব নেতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ময়দানে নামায় হাওয়া ঘুরে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের প্রথম সারির প্রত্যেক নেতা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। এমনকী নিচু তলার কর্মীরাও বাড়ি বাড়ি ঘুরতে শুরু করেছেন। তাতেই বিজেপির রাতের ঘুম চলে গিয়েছে বলে অনেকেরই মত। সেকারণেই তারা গণ্ডগোল পাকিয়ে সহানুভূতির ভোট আদায়ের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনে কী ফলাফল হতে চলেছে, তা ওরা আন্দাজ করতে পেরেছে। সেকারণেই ওরা এসব করছে। দু’লক্ষ ভোটে এবার বিজেপিকে হারাব। ওরা যা করছে মানুষ দেখছেন। আমাদের কর্মীদের সংযত থাকতে বলা হয়েছে।