বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রামনবমীর দিন দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন যে-দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে, রামনবমী উপলক্ষে আজ, শনিবার থেকে প্রাথমিক ভাবে আসানসোল ও ব্যারাকপুরে ওই আধাসেনাদের ব্যবহার করা হবে। তবে প্রয়োজন হলে ওই দু’টি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের অন্যত্রও ব্যবহার করতে পারে প্রশাসন। সূত্রের খবর, বাহিনী চেয়ে কমিশনের কাছে বৃহস্পতিবারেই চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। ভোট পর্বের মধ্যে রামনবমীর দিন অস্ত্র-সহ মিছিল করা বিধিসম্মত কি না, তা-ও কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে তারা। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “রাজ্যের বাহিনীর সংখ্যা তো সীমিত। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাও জরুরি। সেই জন্য এক দিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে”।
রামনবমীকে ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবারেই। কারণ, বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ভাবে ওই কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা। শুক্রবার বিজেপির তরফেও কর্মসূচি পালনের কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক তৎপরতা আরও বেড়ে গিয়েছে। পুলিশ মহলের একটি অংশের বক্তব্য, প্রথমত, এই ধর্মীয় কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে বাড়তি নজর রাখতেই হয়। দ্বিতীয়ত, এই কর্মসূচি ভোট-পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার। আগামী ১৮ এপ্রিল দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে ভোট হবে। এই পরিস্থিতিতে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির সঙ্গে রামনবমীর কর্মসূচি আদৌ মানানসই কি না, কমিশনের কাছে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান।