প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির সবাই যা মনে আসছে বলছেন। যাতে দলেরই সমস্যা বাড়ছে। তাই রাফাল চুক্তি নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভাল। এতেই মঙ্গল গেরুয়া শিবিরের। নানা অযাচিত মন্তব্যে দলেরই ক্ষতি। ঠিক এই ভাষাতেই এবার বিজেপিকে সাবধান করল এনডিএ শরিক শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরের দলের হুঁশিয়ারি, ‘রাফাল মামলায় যেন দম্ভ ঝেড়ে ধৈর্য রাখা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির সবাই যা মনে আসছে বলছেন। এতে দলের সমস্যা বাড়ছে।’
প্রসঙ্গত, সদ্যই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৪ ঘন্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাহাত্ম্য প্রচারের চ্যানেল ‘নমো টিভি’ নিষিদ্ধ হয়েছে। এ নিয়ে দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় শিবসেনার মন্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের জন্য পৃথক টেলিভিশন চ্যানেল দরকার কি না, সেটা অবশ্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে হাতে-গােনা দুটি চ্যানেল ছাড়া প্রায় সবকটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমেই মােদীর যে হারে প্রচার চলছে, তাতেই যদি উনি সন্তুষ্ট হতেন, তাহলে আর নমো টিভি খোলার প্রয়োজনই পড়ত না। তার নিষেধাজ্ঞাও দেখতে হত না।’
নমাে টিভির পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচন শুরু যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র মুক্তিও অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে সামনায় লেখা হয়েছে, ‘শিবসেনা-প্রতিষ্ঠা বালাসাহেব ঠাকরেকে নিয়েও একটি বায়োপিক হয়েছিল। নির্বাচনের সূচির সঙ্গে যাতে সঙ্ঘাত না বাধে সে কথা ভেবেই গত জানুয়ারিতে তা মুক্তি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজনের জনসভায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তা নিয়েও বিজেপিকে কোণঠাসা করেছে সেনা। সামনায় লেখা হয়েছে, ‘ওই স্তম্ভিত করে দেওয়া ভিডিওটি সারা দেশ দেখেছে। দেখেছে কীভাবে দলে গুন্ডা আমদানি করে তাদের বাল্মীকি সাজিয়েছে বিজেপি। এতে কলঙ্কিত হয়েছে বিজেপি-শিবসেনার মহাজুটি। এ বিষয়ে বিজেপিকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই হবে।’ ভোট চলাকালীন শরিকের এমন মন্তব্যে বেজায় বিপাকে গেরুয়া শিবির।