গোটা দেশ জুড়ে প্রবল ভাবে বইছে মোদী বিরোধী হাওয়া। আর তার সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দল। আর প্রচারের ক্ষেত্রে সেটাই বড় সমস্যা হয়ে উঠছে রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের।
গত ২৬ মার্চ রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি দলের প্রার্থী হিসেবে মুকুটমণি অধিকারীর নাম ঘোষণা করে। নাম ঘোষণার পর দিন থেকেই বিজেপি কর্মীরা জোরকদমে প্রচার শুরু করেন। মুকুটমণির নামে দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স প্রভৃতির মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, চাকরিতে ইস্তফা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন প্রার্থী। থমকে যায় প্রচার। ইস্তফা জট শেষ পর্যন্ত কাটেনি। মুকুটমণি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও, তা বাতিল হয়ে যায়। ১০ এপ্রিল স্ক্রুটিনির দিন নতুন প্রার্থী হিসেবে দলের নদীয়া (দক্ষিণ)-র সভাপতি জগন্নাথ সরকারের নাম ঘোষিত হয়।
অধ্যাপক তথা দলের জেলা সহ সভাপতি মানবেন্দ্র রায় ডামি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করেছিলেন। তিনি শেষমেশ দলীয় প্রতীক পাননি। তাই তাঁর মনোয়ন বাতিল হয়েছে। তাঁকে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও দলের কর্মীরাও পছন্দ করছেন না তাঁকে। সেইভাবে কেউই থাকছেনা তাঁর প্রচারে।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথবাবু নিজের গ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু, ওইদিন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত বিজেপির নেতাদের পাশে দেখা যায়নি। শুক্রবারও বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন তিনি। এদিনও বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের দেখা যায়নি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথবাবুর বিরোধী বলে পরিচিত দলের জেলা সহ সভাপতি দিব্যেন্দু ভৌমিক ও জেলা সহ সভাপতি মানবেন্দ্র রায়। এছাড়া, কিষাণ মোর্চার এক নেতা, রানাঘাট -১ ও ২ ব্লকের কয়েকজন নেতা রয়েছেন। দিব্যেন্দুবাবু নির্বাচন ঘোষণার আগে মতুয়াদের একাধিক সভা করেছিলেন। সেখানে গরহাজির ছিলেন জগন্নাথবাবু। যদিও দিব্যেন্দুবাবু দাবি করেন, এখন কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মিটে গিয়েছে। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে শুরু করব।