বাংলায় একের পর এক পুলিশ অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তার বদলে বেছে বেছে দাগী পুলিশ অফিসারদের পাঠানো হচ্ছে। কেন এমন করা হচ্ছে? তা জানতে চেয়েই এবার কমিশনকে চিঠি লিখল তৃণমূল। সেই চিঠিতে জানানো হল, কমিশন নিযুক্ত বাংলার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের ‘হিস্ট্রি’। কেন এমন পুলিশ অফিসারকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হল, চিঠিতে সেই প্রশ্নও তুলেছে তৃণমূল।
কে এই বিবেক দুবে? ২০০৯ সালে বিবেক দুবে যখন ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল, সেই সময় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁর নয়ডার বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল মুরলীনাথের রহস্য মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় পরোক্ষ যোগের অভিযোগে বিবেক দুবে এবং নয়ডার এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক আব্রাহাম লিঙ্কনকে সাওপেন্ড করা হয়। ২০০৯-এর ৩০ জুলাই মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে উদ্ধার হয়েছিল কনস্টেবল মুরলীনাথের দেহ। শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। এক মাস কাটার আগেই ২৪ অগস্ট বিবেক দুবে এবং আব্রাহাম লিঙ্কনকে সাসপেন্ড করা হয়।
এই বিবেক দুবেকেই বাংলার বিশেষ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে কমিশন। সঙ্গে কলকাতা ও বিধাননগরের কমিশনার পদ থেকে অনুজ শর্মা এবং জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে দেওয়া সহ গত কয়েকদিনে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোচবিহারের ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় আনা হয় বিহারে ডেপুটেশনে পাঠানো পুলিশ আধিকারিক অমিত কুমার সিংকে।
এবার এমন দাগী অফিসারদের কেন বাংলায় পাঠানো হচ্ছে তা জানতে চেয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে অবশ্য বিবেক দুবেকে সরাতে চায়নি তৃণমূল। শুধু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তৃণমূল বোঝাতে চেয়েছে, অনুজ, জ্ঞানবন্তদের যদি কমিশন সরাতে পারে তাহলে কেন বিবেক দুবেকে সরানো হবে না? তাঁর নামে তো শুধু অভিযোগ নয়, তিনি সাসপেন্ড ছিলেন।