শুধুমাত্র ভোট চাইতেই তিনি পাহাড়ে যাতায়াত করেন না৷ পাহাড়বাসীর উন্নতির জন্যই তিনি ভাবেন বলেই সেখানে যান৷ শুক্রবার কার্শিয়াংয়ে প্রচার সভায় এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভোট নয়, আপনাদের পাশে থাকতে চাই। পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়ন চাই’।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখলে চাইলে, পাহাড়বাসী যেন জোড়াফুলেই ভোট দেন, এদিনের প্রচারে সেই আহ্বানই জানান মমতা৷ এবার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে লড়ছেন সেখানকার ভূমিপুত্র মোর্চা নেতা অমর সিং রাই৷ তৃণমূলের প্রতীকেই লড়ছেন তিনি৷ কেন তাঁকেই প্রার্থী করা হল, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন মমতা৷ জানালেন, গোর্খাদের তিনি সম্মান করেন৷ পাহাড়বাসী যাতে তাঁদের নিজেদের মানুষকেই জনপ্রতিনিধি হিসেব পান, তার জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ মোর্চা নেতা অমর সিং রাইকে৷ পরবর্তীতে পাহাড়ে আইটি এবং কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ পাহাড় এবং সমতলের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কাজ করার কথা বললেন৷ ভোট মিটে গেলে জিটিএ চুক্তিতে রদবদল হবে বলেও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোর্খাদের জন্য আরও বেশি সুযোগসুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে৷
এদিনের প্রচার সভায় বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়াকেও ২০১৪’র ভোটে জেতার পর থেকে দেখা যায়নি৷ দিল্লীর নেতারা পাহাড়ে গিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন৷ ওঁরা যাবেন, আসবেন৷ কিন্তু তৃণমূল সর্বদাই পাহাড়বাসীর পাশে থাকবে৷ সেনার নামে আমরা ভোট করি না৷ সেনার নামে রাজনীতি করা মানে তাঁদের অসম্মান করা৷’
এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো পাহাড়বাসীকে সতর্ক করে দেন। মমতা বলেন, ‘এনআরসি এখানে কিছুতেই হবে না৷ আপনারা এখন এখানকার নাগরিক৷ এনআরসি করতে দিলে আপনাদের সবাইকে বিদেশি বানিয়ে ছাড়বে৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের নামে আপনাদের এখান থেকে বিতাড়িত করা হবে৷ যেমনটা আসামে হয়েছে৷ তাই বিজেপিকে দিল্লীর মসনদে বসতে দেবেন না৷ দার্জিলিং থেকেই সেই বিরোধিতা শুরু হোক৷’
