কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একসময় তোলপাড় হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। তিনি কি কলেজের গণ্ডি পেরিয়েছেন? বছর পাঁচেক আগে এই প্রশ্নে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ আর বৃহস্পতিবার তাঁর করা এক মন্তব্যে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা দিল। তিনি স্বীকার করেন যে তিনি গ্র্যাজুয়েট নন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েও সেটা শেষ করেন নি বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে নির্বাচনের সময় কমিশনে জমা দেওয়া পত্রে তিনি নিজেকে স্নাতক হিসাবে দাবি করেছিলেন। আর এরপরই সরব হন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের আর্জি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। এতে জালিয়াতির অভিযোগেও ফাঁসতে পারেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২০১৪ সালে কমিশনে দেওয়া অ্যাফিডেভিটে তিনি দাবি করেন, তিনি কমার্স গ্র্যাজুয়েট৷ ১৯৯৪ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে স্নাতক হন। তাঁর সেই দাবি আবার উস্কে দিল তাঁরই করা আজকের মন্তব্যতে।
ইতিমধ্যেই স্মৃতির শিক্ষাগত ডিগ্রি নিয়ে একটি মামলা করা হয়েছে৷ বর্তমানে স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন৷ আগে মানব সম্পদ উন্নয়ন, তথ্য ও সম্প্রচারের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।