নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট শেষ। বেজে গেছে দ্বিতীয় দফার ঘন্টা। সেটা নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফায় বাংলার ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আর সেখানেই নির্বাচন কমিশন রাজ্যে আনছে শতাধিক কোম্পানির আধাসেনা।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে ভোট গ্রহণ। আর সেখানেই আসছে প্রথম দফার তুলনায় আরও ৪০ কোম্পানির আধাসেনা। প্রথম দফায় ব্যবহার করা হয়েছিল ৮৩ কোম্পানি আর দ্বিতীয় দফায় সেটা বেড়ে হল ১২৩। উত্তর-পূর্বের নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয় থেকে বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে স্ট্রং রুম, ভোটের পরবর্তী হিংসার জন্য কিছু বাহিনী থাকবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। বাকি বাহিনী ব্যবহার করা হবে দ্বিতীয় দফায়। এখন ৩ কেন্দ্র মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে মোট বুথ সংখ্যা ৫৩৯০টি।
মোর্চা বাহিনীর নেতার রদবদল, তিস্তা, আলাদা গোর্খাল্যান্ড দাবি সব নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। তবে দার্জিলিংবাসী যে মুখ্যমন্ত্রীর কাজে খুশি বারবার বুঝিয়েছেন তাঁরা। তাই তাদের বিশ্বাস বিরোধীরা যতই মমতা বিরোধী সুর চড়াক, নির্বাচনে অশান্তির কথা বলুক শান্তি বজায় থাকবে পাহাড়ে।
তবে প্রথম দফার ভোটের পর বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার বিবেক দুবে দাবি করেছিলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে, সহযোগিতা করেছে রাজ্য পুলিস। তাই রাজ্যবাসী নিশ্চিত দ্বিতীয় দফাও শান্তিপূর্ণ হবে।