আইপিএল-এর যুদ্ধে কাল মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই এবং রাজস্থান। তবে ম্যাচ জিতলেও কাল দর্শকেরা কার্যত এক অবিশ্বাস্য নাটক দেখলেন। হ্যাঁ, ম্যাচের শেষ ওভারেই মজুত ছিল যাবতীয় নাটক। বল করছিলেন বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ধোনি। মাঠে নামেন স্যান্টনার। তাঁকে কাঁধের কাছে বল করে বসেন স্টোকস। আম্পায়ার নো বলের ইশারা করেই হাত নামিয়ে নেন। প্রথমে জাডেজা ‘নো’ বলের আবেদন করেন। আম্পায়ার তাতেও সাড়া দেননি। এতেই চটে যান ধোনি। সোজা ঢুকে পড়েন মাঠে। আম্পায়ারদের সঙ্গে জোর তর্ক শুরু করে দেন। ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছুক্ষণ। স্টোকস পর্যন্ত এগিয়ে এসে ধোনিকে বোঝাতে থাকেন।
তবে জিতলেও কাল ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর এক নতুন রূপ দেখল সবাই। ১৯.৪ ওভারে বেন স্টোকসের বল বুক সমান উচ্চতায় ধেয়ে আসে মিচেল স্যান্টনারের দিকে। সঙ্গত কারণেই তিনি আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন জানান। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিতে চাননি আম্পায়াররা। আর তখনই ক্ষিপ্ত ধোনি মাঠে ঢুকে পড়েন। কেন নো বল দেওয়া হবে না, তা নিয়ে তর্ক শুরু করে দেন তিনি। পঞ্চম বলে দু’রান নেন স্যান্টনার। স্টোকসের শেষ বল ওয়াইড হয়। পরের বলই স্যান্টনার পাঠিয়ে দেন গ্যালারিতে। রক্তচাপ বাড়িয়ে চার উইকেটে জয় পায় চেন্নাই সুপার কিংস।
এত ডামাডোলের মধ্যেও ম্যাচের সেরা সেই ধোনি। যিনি চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে এ দিনই জয়েরও সেঞ্চুরি করে ফেললেন। ধোনি মেনে নিলেন, রাজস্থান বোলাররা তাঁদের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। সেরার পুরস্কার নিয়ে রসিকতা করে সঞ্চালককে বলেও দিলেন, ‘‘পুরস্কার নিতে আসার সময়ে আমি ভাবছিলাম, এ বার হয়তো আম্পায়ারদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’’ ধোনির সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৫ রান যোগ করা অম্বাতি রায়ডু (৪৭ বলে ৫৭) বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা এক সময়ে খুবই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবে ধোনি বলেছিল, নিজের উপর বাড়তি চাপ তৈরি না করে রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। ধোনি উইকেটে থাকার অর্থ যে কোনও সময়ে ম্যাচের রং পাল্টে যাবে। সেটাই হল।’’