এই লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো ভোটকর্মী মারা যান, তাহলে তাঁর পরিবার পাবে ১০ লক্ষ টাকা। আর যদি কোনও ভোটকর্মীর অঙ্গহানি হয়, তাহলে তিনি পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ভোটকর্মীদের সব রকম নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের ৮৫৭টি বুথে এবং আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের ১ হাজার ২০টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। এই সব বুথে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। দুটি কেন্দ্র মিলিয়ে ৩,৮৪৪টি বুথের মধ্যে ১,৯৬৭টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। অর্থাৎ ৫১ শতাংশের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না ১,৮৭৭টি বুথে।
ভোটকর্মীদের সব রকম নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে এনিয়ে প্রেস নোটও প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষে অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, “ভোটার ছাড়া কেউ ১০০ মিটারের মধ্যে থাকতে পারবেন না। বুথ থেকে ২০০ মিটার দূরে রাজনৈতিক দলগুলি ক্যাম্প বানাতে পারবে। সেখান থেকে স্লিপ দেওয়া যাবে, তবে সেই স্লিপে রাজনৈতিক দলের প্রতীক থাকা চলবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি সচিত্র ভোটার স্লিপ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই স্লিপ ভোটারদের আইডেনটিটি কার্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে না। ভোটার কার্ড ছাড়াও আধার কার্ড সহ ১১টি সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে পারবেন ভোটাররা”।