সারাদেশের ২০ টি রাজ্যের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই অশান্তির খবর শোনা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফাতেই অশান্তি। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটকর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের গণ্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রের রসুলপুর-গুজরান গ্রাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষীরা শূন্যে গুলি ছোড়ে। ঘটনাকেন্দ্রে আসেন জেলা শাসক ও পুলিশসুপার। গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে শান্ত করে তাঁদের এবং পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
উত্তরপ্রদেশে তিনটি দল লড়ছে এই লোকসভা নির্বাচনে। সপা-বসপার জোট, বিজেপি ও কংগ্রেস। নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল উত্তরপ্রদেশ। আর নির্বাচনের প্রথম দফা থেকেই সেই অশান্তির চিত্র উঠে এসেছে। কান্ধলা থানার রসুলপুর-গুজরান গ্রামের দুই বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁরা ভোট দিতে দিলে ভোটকর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। তাঁদের হয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন ওই দুই গ্রামবাসী। তাঁদের মুখে এই কথা শুনে গ্রামের বহু মানুষ ভোটকেন্দ্রে এসে জড়ো হন। শুরু হয় গণ্ডগোল।ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তাদের অভিযোগ তাদের লক্ষ্য করেই পাথর ছোড়ে গ্রামবাসী। বাধ্য হয়েই শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গ্রামবাসী তাদেরকে অকারণে হেনস্তা করার জন্য। এই নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের গ্রামে।
অন্যদিকে বিহারেও অশান্তির ঘটনা চোখে পড়ে। বিহারের নওয়াডার ২৭০ নম্বর বুথে সংঘর্ষ বাঁধল আরজেডি এবং এনডিএ কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে। এনডিএর সমর্থকদের অভিযোগ, আরজেডির কর্মীরা জোর করে বুথে ঢুকে মহিলাদের ভয় দেখিয়ে বাধ্য করছে আরজেডির প্রতীক লণ্ঠনে ছাপ মারতে। তাঁরা বাধা দিতে গণ্ডগোল শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। প্রিসাইডিং অফিসারকে অভিযোগ জানায় তাঁরা। ঘটনাস্থলে অফিসার পৌঁছালে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে আরজেডি কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী হাজির হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।