আজ থেকে শুরু হল সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। সাত দফা ভোটের প্রথম দফায় আজ ভোটগ্রহণ চলছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে৷ এবারই প্রথম এত দফায় ভোট হচ্ছে৷ বাংলাতেও তৃণমূল প্রার্থীরা জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রত্যেকেই বলছেন “তৃণমূলের প্রার্থী একজনই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমাদেরকে ভোট দেওয়া মানেই তাঁকে ভোট দেওয়া।” এবার স্বয়ং মমতা ভিডিওর মাধ্যমে সবাইকে তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আবেদন জানাচ্ছেন।
বনগাঁর দলের প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর সম্পর্কে মমতার আবেদন, ‘আমার পরিচিত প্রার্থী। আগেও সাংসদ ছিলেন। হরিচাঁদ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দিয়েছি। বড়মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতাবালাকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। উনি অনেক কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে আরও করবেন।’
বুধবারই মমতা ফের দার্জিলিং গেছেন। তিনি ওখানে দুটি সভা করবেন। দার্জিলিঙে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অমর সিং রাই। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা–সহ অনেকেই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি প্রচার শুরু করেছেন। ৭টি বিধানসভার মধ্যে সমতলে ৪টি, পাহাড়ে রয়েছে ৩টি। সমতলেও তৃণমূলের কর্মী ও নেতারা প্রচার করছেন। পাহাড়ে ইতিমধ্যে অমর সিং রাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। তাঁর কথায়, ‘পাহাড়ে মানুষের মধ্যে সাড়া পড়েছে। প্রত্যেকেই মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।’ ভিডিও বার্তায় অমর সিং রাই সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘অমর সিং রাই ভূমিপুত্র। বিধায়ক ছিলেন। ওঁর স্ত্রী বাঙালি। কাজের মানুষ। সকাল সকাল ভোট দিয়ে প্রত্যেককে জয়ী করুন। একটিও ভোট বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমকে দেবেন না। আমরা চাই শান্তিপূ্র্ণ নির্বাচন।’
হাওড়ার প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রসূন কাজের ছেলে। আগেও সাংসদ ছিল। এবারও তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। হাওড়ায় আরও কাজ হবে।’ ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছেন, ‘সুদীপদা আমার থেকেও সিনিয়র। দলকে সম্মান দেন। সৎ এবং আদর্শবান মানুষ। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা রেখেই কাজ করেন। তাই, তাঁকে আমার ভাল লাগে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে আপনারা সুদীপদাকে ভোট দেবেন।’
লোকসভার তৃণমূলের সদস্যরা এলাকার উন্নয়নের জন্য সাংসদ তহবিলের প্রায় অধিকাংশ টাকা খরচ করে ফেলেছেন। নিয়মিত হাজির থেকেছেন লোকসভা অধিবেশনে। দলের কর্মসূচিতেও এঁরা সামিল হয়েছেন। প্রচার এখন তুঙ্গে। কেউ রোড শো করছেন, কেউ মিছিল করছেন। কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। প্রত্যেকরই বিপুল জনসমর্থন পাচ্ছেন প্রচারে। শুধু নতুনরাই নন, পুরনো কর্মীরাও কাজে নেমে পড়েছেন। প্রচারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বলছেন।