‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের ভিতরে ঢুকে মাতব্বরি করছে।’ কমিশনে নালিশ জানানোর পাশাপাশি এবার এ কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে জানালেন কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রসঙ্গত, বাংলার সাতদফা ভোটের প্রথম দফায় আজ ভোটগ্রহণ চলছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে৷ আর ভোটের প্রথম দফার দিনই খবর এল ইভিএম বিকল হয়ে পড়ার। আজ কোচবিহারে ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক বুথে রিপোল-এর দাবি তুলেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর অভিযোগ, ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের ভিতরে ঢুকে মাতব্বরি করছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, ১০৫ নম্বর বুথে ২৮০০টি ভোট হওয়ার পর সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার বলেন সেই ইভিএমটি খারাপ৷ তবে আগে যেই ভোট গুলি পড়ল তার ভবিষ্যত কি? তাই এই বুথে পুননির্বাচন করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, দিনহাটা বিধানসফভা কেন্দ্রের ২২৯ নম্বর বুথে যে প্রথমে মকপোল হয়েছিল তা ডিলিট না করেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ৷ আমাদের পোলিং এজেন্টরা বারবার সে কথা প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও কানে তোলনি তারা৷ তাই এই বুথটিতেও পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়েছি৷
এখানেই শেষ নয়। ভোট দিতে গেলে রবীন্দ্রনাথকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ৷ তাঁর দাবি, ‘আমি যখন ভোট কেন্দ্রে ঢুকি আমার সঙ্গে সঙ্গে দুজন সিআরপিএফ জওয়ান আসে৷ কিন্তু তাদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকার কোনও পারমিশন নেই৷ একথা বলার পরও তারা ঘরের বাইরে যায়নি৷’ মন্ত্রীর আশঙ্কা, আমাকেই এমন হেনস্থার মুখে পড়তে হলে, সাধারণ মানুষকে কতটা হেনস্থা হতে হবে৷ তবে ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার কথা ফোনে দলনেত্রীকে জানানো হয়েছে বলে জানান কোচবিহারে তৃণমূলের সেনাধিপতি।