আজ থেকে শুরু হল সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন৷ সাতদফা ভোটের প্রথম দফায় আজ ভোটগ্রহণ চলছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে৷ এবারই প্রথম এত দফায় ভোট হচ্ছে৷
কোচবিহারে নির্দল–সহ ১১ জন প্রার্থী। জাতীয় কংগ্রেসের প্রিয়া রায় চৌধুরি, তৃণমূল কংগ্রেসের পরেশচন্দ্র অধিকারী, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক ও বামেদের প্রার্থী গোবিন্দ রায়। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকি, বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা, বামফ্রন্ট প্রার্থী মিলি ওরাওঁ–এর মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ থাকছে।
গতকাল পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কোচবিহারে এসেছেন। বৈঠক করেছেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক কৌশিক সাহা ও সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অমিতকুমার সিংয়ের সঙ্গে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেছেন।
বুধবার সকাল থেকেই কোচবিহারে ৯০৪৮ জন ভোটকর্মী জেলার তিনটি ডিস্ট্রিবিউশন কাউন্টার থেকে রওনা হন ভোট কেন্দ্রে। কোচবিহার জেলার ৯টির মধ্যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র। তুফানগঞ্জ আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে ও মেখলিগঞ্জ জলপাইগুড়ির সঙ্গে যুক্ত। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজ ডিসি থেকে কোচবিহার উত্তর, দক্ষিণ ও নাটাবাড়ির ভোটকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে গেছেন।
অন্যদিকে, দিনহাটা কলেজ ডিসি থেকে দিনহাটা ও সিতাই এবং মাথাভাঙা কলেজ ডিসি থেকে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির ভোটকর্মীরা ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন।
জেলাশাসক সুনীলকুমার যাদব বলেন, “৫৪৪টি বুথে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স থাকছে। এছাড়াও যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না, সেখানে সিসি ক্যামেরা, লাইভ কাস্টিং, ভিডিওগ্রাফি থাকছে।” কড়া নিরাপত্তা থাকছে জেলার প্রায় সমস্ত বুথেই।জেলাশাসক আরও জানান, “২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও ২৯৫৮ জন রাজ্য পুলিশ অস্ত্র-সহ মোতায়েন থাকবে”৷
এবার গোটা লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৩৪টি বুথের সব ভোটারের নির্দিষ্ট এপিক কার্ড রয়েছে। গোটা লোকসভা কেন্দ্রের ৭ বিধানসভা জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের পর্যবেক্ষকরা যেমন থাকবেন, তেমনি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে দিনভর টহলদারি করবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। বুধবার থেকেই ভারত–ভুটান সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়ে ১৭টি পয়েন্টে চলছে একটানা নাকা চেকিং। বাংলা–অসম সীমান্তের বারবিশাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে চলছে কড়া নজরদারি। অসম থেকে বাংলায় আসা প্রতিটি গাড়িতে চলছে তল্লাশি।