২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দাদরির বিসারা গ্রামের বাসিন্দা ৫১ বছরের মহম্মদ আখলাকের বাড়িতে চড়াও হয় প্রায় ২০০ জন মানুষ। গরুর মাংস কেটে বাড়ির ফ্রিজে রেখেছেন এই অভিযোগে তাঁকে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারা হয়। এবার উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা থেকে নাম উধাও হয়ে গেল তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গৌতমবুদ্ধ নগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মহেশ শর্মার হয়ে প্রচারে এসেছিলেন। তিনি যখন বক্তব্য রাখছেন তখন সভার একদম সামনের চেয়ারে বসে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায় আখলাক খুনে মূল অভিযুক্ত বিশাল রানা-সহ আরও চারজনকে। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট চাওয়ার সময়ও আখলাকের ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের প্রবল সমালোচনা করেন।
উগ্র জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বিজেপি সরকারের এই কাজ মানতে পারছেন না অনেকেই। এপ্রসঙ্গে গৌতমবুদ্ধ নগরের এক নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ওই পরিবার বেশ কয়েকমাস আগেই বিসারা গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় যখন ভোটগ্রহণ চলছে উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরে, তখনই প্রকাশ্যে আসে ভোটার তালিকায় আখলাকের পরিবারের নাম না থাকার বিষয়টি।
মহম্মদ আখলাককে যখন পিটিয়ে মারা হচ্ছিল তখন বাধা দিতে গিয়ে মার খেতে হয় আখলাকের ছেলে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী শোরগোল পড়তে কিছুদিন নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু, পরে তা সরিয়ে নেওয়া হতেই আতঙ্কে বিসারা গ্রাম ছেড়ে চলে আখলাকের পরিবার। এবার ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হল তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।